তিনদিন ধরে নিখোঁজ, স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ছেলের দেহ উদ্ধার হল রেললাইনে
বর্তমান | ২২ জুলাই ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: ওষুধ কেনার নাম করে বেরিয়ে গিয়েছিলেন বাড়ি থেকে। তারপর ফেরেননি। বাগুইআটি থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। অবশেষে তিনদিন পর স্বর্ণ ব্যবসায়ীর সেই ছেলের দেহ মিলল! সোমবার মর্গে তাঁর দেহ শনাক্ত করেছেন পরিবারের সদস্যরা। মৃতের নাম গগন সোনালিয়া (৪০)। বাগুইআটির একটি আবাসনে থাকতেন। বিরাটি ও বিশরপাড়া স্টেশনের মাঝে ট্রেনে কাটা পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। সেখান থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় মর্গে। প্রাথমিক তদন্ত ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায় পুলিস জানতে পেরেছে, তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। তবে, কী কারণে আত্মঘাতী হলেন যুবক? তদন্ত শুরু হয়েছে। সম্পর্কের টানাপোড়েন নাকি অন্যকিছু তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গগনের বাবা স্বর্ণ ব্যবসায়ী। কলকাতায় তাঁদের শোরুমও রয়েছে। বাবার ব্যবসা তিনিও দেখভাল করতেন। কোনও একটি বিষয়ে বাড়িতে অশান্তি হয়। গগনকে সতর্ক করা হয়েছিল। তারপরই গত শুক্রবার ১৮ জুলাই দুপুর ২টো নাগাদ ওষুধ কিনতে যাচ্ছি বলে গগন বাগুইআটির আবাসন থেকে বের হন। তারপর আর বাড়িতে ফেরেননি। ওইদিনই পরিবারের পক্ষ থেকে বাগুইআটি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। খোঁজ শুরু করে পুলিস। পুলিস সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে জানতে পারে, অ্যাপ ক্যাবে উঠেছিলেন তিনি। সেই ক্যাবচালককে চিহ্নিত করে পুলিস জিজ্ঞাসাবাদ করে। চালক জানান, বিধাননগর রোড স্টেশনের সামনে তাঁর ড্রপ করেছিলেন। পুলিস জানতে পারে, যুবক আপ বনগাঁ লোকালে উঠেছিলেন। রবিবার পরিবারের পক্ষ থেকে বাগুইআটি থানায় এক মহিলার নামে অভিযোগও দায়ের করা হয়। পরিবারের সন্দেহ ছিল, গগনের নিখোঁজের পিছনে ওই মহিলার হাত রয়েছে। নিখোঁজ যুবকের খোঁজে বাগুইআটি থানা সমস্ত থানায় এলার্ট দিয়েছিল। সেই হিসেবে সোমবার বাগুইআটি থানার পুলিসের কাছে একটি মেসেজ আসে। তাতে একটি মৃতদেহের ছবি ছিল। বারাসত জিআরপি সূত্রে বাগুইআটি থানা জানতে পারে, ১৮ জুলাই বিরাটি ও বিশরপাড়া স্টেশনের মাঝে আত্মঘাতী হয়েছিলেন যুবক। নাম ও পরিচয় না মেলায় তাঁর মর্গে রাখা আছে। পরিবারের লোকজন বারাসতে গিয়ে মৃতদেহটি শনাক্ত করেন।
সোমবার বাগুইআটি থানার পুলিস ওই মহিলাকে ডেকে জিজ্ঞাসবাদও করে। যদিও নিখোঁজের বিষয়ে তাঁর প্রত্যক্ষ যোগ না থাকায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে।