• একুশের ডায়েরি
    বর্তমান | ২২ জুলাই ২০২৫
  • ‘বাঙালি প্রধানমন্ত্রী চাই’ ট্যাবলোসাজানো একটি ভ্যান, তাতে বড় বড় করে লেখা-‘বাঙালি প্রধানমন্ত্রী চাই’। তাতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সহ একাধিক বড় বড় পোস্টার, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাট আউট। সেই ট্যাবলো সোমবার সকলের নজর কাড়ল ধর্মতলায় একুশের সভাস্থলে। চেতলার বাসিন্দা অর্জুন সর্দার ট্যাবলো নিয়ে এসেছিলেন ধর্মতলায়। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বায়োডেটা কার্যত লিখে রেখেছেন অর্জুনবাবু। পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন উন্নয়নের কথাও লেখা। মোদির একমাত্র বিকল্প যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাই জ্বলজ্বল করছে ট্যাবলোতে। ছবি ও সেলফি তোলার জন্য ভিড় জমিয়েছিলেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।ছায়া দিলেন নদীয়ার প্রেমানন্দপ্রখর রোদ শরীরে তীরের ফলার মতো বিঁধছে। সানগ্লাস, টুপি পড়ে রোদ আড়াল করে মিছিল করে ধর্মতলামুখী মিছিল। রোদের তাপ থেকে বাঁচতে বড় ছাতা হাতে তুলে ধরেছেন প্রেমানন্দ। যে আসছে তাঁকে ছায়া দিচ্ছেন। ৬৫ বছরের প্রেমানন্দ বিশ্বাস নদিয়ার ধানতলার বহিরগাছির বাসিন্দা। সভায় আসার সময় সঙ্গে এনেছেন বড় ছাতা (গার্ডেন আমব্রেলা)। পেশায় কৃষক তিনি। বলেন, এত রোদ, বৃষ্টিও নামতে পারে। তাই একার জন্য নয় সকলের কথা ভেবে বড় ছাতাটা নিয়ে এলাম। মাঠে চাষের সময় এটি কাজে আসে।৪০ সেকেন্ডের জন্য মাইক বন্ধকেন্দ্রকে নিশানা করে তখন কড়া ভাষায় বক্তব্য রাখছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আচমকা ডোরিনা ক্রসিং সংলগ্ন অঞ্চলের সমস্ত মাইক বন্ধ। জায়ান্ট স্ক্রিনের সামনে বসা দর্শকরা কিছুই শুনতে পাচ্ছেন না। প্রায় ৪০ সেকেন্ড চলল এভাবে। সাধারণ মানুষ শ্রদ্ধেয় নেত্রীর বক্তব্য শোনার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ধর্মতলা এসেছেন। তাঁরা কিছু শুনতেই পাচ্ছেন না। ফলে বিস্তর উত্তেজনা তৈরি হল। অন্যদিকে কন্ট্রোল রুমে তখন মাইকের কানেকশন ঠিক করতে কালঘাম ছুটছে মেকানিকদের। অবশেষে প্রায় ৪০ সেকেন্ড পর কানেকশন ঠিক হল। চলল মাইক। গলা শোনা গেল প্রিয় নেত্রীর। মুখে হাসি দেখা গেল কর্মী-সমর্থকদের।দার্জিলিংয়ের মিলিপাহাড়ের দেশ দার্জিলিং থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টানে কলকাতায় একুশের সভায় এসেছেন মিলি ডুকপা। তিনি বিএড পড়ছেন। তাঁর আকর্ষণীয় কথাবার্তা শোনার ছবি তোলার জন্য কার্যত হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল কর্মীদের মধ্যে। মহিলা ক্ষমতায়নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজ টেনে নিয়ে এসেছে ধর্মতলায়-বললেন মিলিদেবী। শাটল অটোমিটিং যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে তখন এসএন ব্যানার্জি রোডে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিস। সুযোগ বুঝে রাস্তার দখল নিয়ে নেয় বেশ কয়েকটি অটো। ভাড়াও নিল তারা নিজেদের খেয়াল-খুশি মতো। শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত গলির ভিতর দিয়ে পৌঁছে দেবেন চালক। এই সামান্য পথটুকুর জন্য ভাড়া নেবেন ৩০ টাকা। কোনও দরাদরির বিষয় নেই। এক অটোওয়ালা জানান, দুপুর ১২টা থেকে তিনটে পর্যন্ত ছ’টি ট্রিপ করেছেন। এটুকু সময়েই মোটা টাকা রোজগার হয়েছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)