নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: স্কুল সার্ভিস কমিশনের চাকরিহারাদের মামলায় শুধুমাত্র ‘যোগ্য’রাই ফের নতুন নিয়োগে অংশ নিতে পারবে। শিক্ষকতার চাকরির অভিজ্ঞতার জন্য পরীক্ষায় অতিরিক্ত ১০ নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রেও কোনও বাধা নেই। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রেখে সোমবার স্পষ্ট ভাষায় এমনটাই জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দাখিল হওয়া মামলা (স্পেশাল লিভ পিটিশন) খারিজ করে দিল বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার ডিভিশন বেঞ্চ। জানাল, এসএসসি চাইলে নিজের মতো বিধি তৈরি করতেই পারে। শুধু তাই নয়। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েও চাকরি না পাওয়া, তথা নিজেদের যোগ্য দাবি করা প্রার্থীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে এদিন পড়তে হল প্রবল ভর্ৎসনার মুখে। বেশ কিছুক্ষণ শুনানির পর হার হচ্ছে বুঝে মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার আবেদন জানান তিনি। তখনই বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের মন্তব্য, ‘স্পেশাল লিভ পিটিশন জুয়াখেলা নয়। এসএলপি ইজ নট গ্যাম্বল! এতক্ষণ শুনানির পর এখন বলছেন প্রত্যাহার করব? এটা অত্যন্ত বাজে অভ্যাস। এভাবে চলতে পারে না। সুপ্রিম কোর্টে নিজেদের ভাগ্য পরীক্ষা করবেন। আবার অন্য কোর্টে যাবেন! এটা হয় না। কোথাও তো একটা থামতে হবে। সরি। মামলা ডিসমিস।’
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ২৫ হাজার ৭৫২ জন চাকরি হারানোর পর নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল এসএসসি। তা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করে নিজেদের যোগ্য দাবি করা প্রার্থীদের একাংশ। ১৬ জুলাই হাইকোর্টে তাদের হার হয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন অরুনিমা পাল নামে এক আবেদনকারী। শুনানিতে এসএসসি’র আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘শীর্ষ আদালতের রায় অনুযায়ী যোগ্যদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু সেই কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এখানে আবেদনকারীরা তো কেউ চাকরিই পাননি। তাহলে কীভাবে নিজেদের যোগ্য দাবি করে নয়া নিয়োগে অংশ নিতে চাইছেন?’ যদিও বিকাশবাবু বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, ফ্রেশ রিক্রুটমেন্টের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তাহলে কেন ২০১৬ সালে যারা পরীক্ষা দিয়েছিলেন, তাঁরা সবাই নয়া নিয়োগে সুযোগ পাবেন না? বিচারপতি সঞ্জয় কুমার সঙ্গে সঙ্গে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়কে টুইস্ট করার চেষ্টা করবেন না। ওই রায়ে স্পষ্ট বলা আছে, দাগিরা (অযোগ্য) নয়া নিয়োগে অংশ নিতে পারবে না। শুধু যোগ্যরাই (নন-টেন্টেড) নতুন করে পরীক্ষায় বসতে পারবেন। আপনারা তো চাকরিই পাননি! ফলে যোগ্য বা অযোগ্য কোনওটিতেই নেই।’
আরও একটি মামলায় এদিন মুখ্যমন্ত্রীর পাশেই দাঁড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এসএসসির মামলা সংক্রান্ত রায়ের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিতর্কিত মন্তব্য করে আদালত অবমাননা করেছেন—এই ছিল অভিযোগ। এতেই মামলাকারী চ্যারিটেবল সংস্থা আত্মদীপের তীব্র সমালোচনা করে প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের বেঞ্চ। আইনজীবী মনিন্দর সিংকে প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, ‘কেন এই মামলা করেছেন? আদালতকে কড়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করবেন না। রাজনৈতিক লড়াই আদালতে লড়বেন না। লড়তে হলে আদালতের বাইরে লড়ুন।’ চাপে পড়ে আবেদনকারীর আইনজীবী বলেন, ‘আপাতত মামলা মুলতুবি করে দিন। আমরা অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে পরাম