• বাংলায় ‘দুর্গা অঙ্গন’ এ বার গড়বেন মমতা
    আনন্দবাজার | ২২ জুলাই ২০২৫
  • জগন্নাথ ধামের পরে এ বার বাংলায় ‘দুর্গা অঙ্গন’ গড়বেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্মতলায় ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে সেই ঘোষণা করে দিলেন তিনি। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের ‘দুর্গা-প্রীতি’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।

    সম্প্রতি রাজ্যে এসে দুর্গাপুরের সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘জয় মা দুর্গা’, ‘জয় মা কালী’ বলে বক্তব্য শুরু করেছিলেন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ২১-এর মঞ্চ থেকে যা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন। তাঁর দাবি, ঠেলায় না-পড়লে বেড়াল গাছে ওঠে না! এর পরে মমতা তাঁর বক্তৃতায় ‘দুর্গা অঙ্গনে’র ঘোষণা করেছেন। রাজনৈতিক শিবিরের একাংশের মতে, বিজেপির সঙ্গে ‘হিন্দুত্বের প্রতিযোগিতা’য় কোনও ছাড় দিতে চান না মমতা।

    বিজেপির বিভিন্ন স্তরের নেতারা বারবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে ‘তোষণে’র রাজনীতির অভিযোগে সরব হয়েছেন। এমনকি রাজ্যে দুর্গাপুজোর বিসর্জন, সরস্বতী পুজোয় ‘বাধা’ দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে কোনও কোনও মহল থেকে। সেই প্রসঙ্গ টেনে এ দিন মমতা বলেন, “অসমে কালীর মন্দির ভেঙে দিলেন। বাংলায় এটা হলে কী করতেন? আগে বলতেন, মমতা দুর্গাপুজো, সরস্বতী পুজো করতে দেন না। এখন ভোটের সময় কালী-দুর্গার কথা মনে পড়ল। মা দুর্গা আমাদের জাতীয় সম্পদ। জগন্নাথ ধাম যেমন করেছি, তেমনই তার অনুকরণে দুর্গা অঙ্গন করে দেব। সারা বছর যাতে মানুষ দেখতেপারেন সবটা।”

    পাল্টা বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন মদনলাল খুরানা যখন সব স্কুলে বন্দেমাতরম গাওয়া বাধ্যতামূলক করেছিলেন, তখন কংগ্রেস ‘ত্বং হি দুর্গা দশপ্রহরণধারিণী’ বাক্যটি থাকার জন্য আপত্তি তুলেছিল। তখন মমতা কংগ্রেসে ছিলেন। উনি কি বিরোধিতা করেছিলেন? গীতিকারের নাম ছিল বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। উনি তো বাঙালি ছিলেন।”
  • Link to this news (আনন্দবাজার)