• ২৬-এর ভোটের আগেই CEO অফিসকে ‘স্বতন্ত্র’ করতে চেয়ে মুখ্যসচিবকে চিঠি নির্বাচন কমিশনের, কী সুবিধা হবে?
    এই সময় | ২৩ জুলাই ২০২৫
  • বিহারের ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন নিয়ে ইতিমধ্যেই সুড় চড়িয়েছিল বাংলা। সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এরই মধ্যেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরকে (CHIEF ELECTORAL OFFICER) রাজ্য সরকারের অধীন থেকে ‘স্বতন্ত্র’ করতে চেয়ে এ বার মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে চিঠি দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আন্ডার সেক্রেটারি এম আশুতোষ এই চিঠি পাঠিয়েছেন। যা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হতে শুরু করেছে। যদিও সিইও অফিসের এক কর্তাদের দাবি, ‘কমিশন স্বাধীন ভাবেই কাজ করে আসছে এত বছর, এই নির্দেশের ফলে শুধু অফিস পরিচালনায় সুবিধা হবে।’ এ ব্যাপারে অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অরিন্দম নিয়োগীকে ফোন করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।   

    ওই চিঠিতে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরকে ‘স্বতন্ত্র’ করার কথা বলেছে কমিশন। জানা গিয়েছে, বর্তমানে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র এবং পার্বত্য বিষয়ক দপ্তরের ‘ব্রাঞ্চ’ হিসেবে রয়েছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর। ফলে কর্মীর প্রয়োজন থেকে যাবতীয় বিল পাশের জন্য সেখানেই পাঠাতে হয়। কিন্তু কমিশনের এই প্রস্তাব কার্যকর হলে রাজ্য সরকারের উপরে আর নির্ভর থাকবে না সিইও দপ্তর। ফিন্যান্স শাখা থাকবে সিইও অফিসেই। ফলে আর সিইও অফিসকে বিল পাশের জন্য রাজ্যের অর্থ দপ্তরের দ্বারস্থ হতে হবে না। উল্লেখ্য, অনেক রাজ্যের সিইও দপ্তর সেই রাজ্য সরকারের কোনও দপ্তরের ‘ব্রাঞ্চ’ বলে বিবেচিত হয় না। স্বাধীন ভাবে কর্মী নিয়োগ কি করতে পারবে সিইও অফিস? কমিশনের ওই কর্তা বলেছেন, ‘তা একেবারেই নয়, নিয়োগ করতে গেলে শূন্যপদের প্রস্তাব তো ক্যাবিনেটে পেশ করতে হবেই।’ 

    বছর ঘুরলেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই বিহারে নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকা থেকে অনুপ্রবেশকারী এবং অযোগ্য ভোটারদের ছাঁটাই করার জন্য ‘স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন’ চালু করেছে নির্বাচন কমিশন। এ নিয়ে সুর চড়িয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসও। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র কমিশনের এই পদক্ষেপের পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে কড়া নেড়েছিলেন। যদিও এখনও পর্যন্ত কমিশনের এই পদক্ষেপে কোনও হস্তক্ষেপ করেনি সর্বোচ্চ আদালত। মামলাটি বিচারাধীন। তারই মধ্যে বাংলায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরকে ‘স্বতন্ত্র’ করার  জন্য কমিশনের পদক্ষেপ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে দাবি অভিজ্ঞ মহলের।

  • Link to this news (এই সময়)