• ওয়ার্ডে ফ্যান খারাপ, গরমে হাঁসফাঁস দশা, বাইরে দাঁড়িয়ে রোগী দেখছেন চিকিৎসক!
    বর্তমান | ২৩ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: ওয়ার্ডে পাখা আছে, কিন্তু ঘোরে না। ফলে প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা রোগীদের। পরিস্থিতি এমনই যে, বাধ্য হয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে রোগী দেখতে হচ্ছে চিকিৎসককে!

    অভিযোগ, জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের অধীন রংধামালি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কিছুদিন ধরে একাধিক সিলিং ফ্যান অকেজো। এনিয়ে ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা রোগীরা ক্ষোভ জানানোয় ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একটি স্ট্যান্ড ফ্যানের ব্যবস্থা করা হয়। ওই পাখা নিয়ে এখন কার্যত কাড়াকাড়ি শুরু হয়েছে। একবার ওই পাখা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মহিলাদের ওয়ার্ডে। কখনও আবার তা নিয়ে আসা হচ্ছে পুরুষ ওয়ার্ডে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাইরে রোগীর পরিজনদের বসার জায়গাতেও কোনও পাখা নেই। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশেই রোগীর পরিজনদের জন্য তৈরি হওয়া রাত্রি নিবাস পড়ে রয়েছে তালাবন্ধ অবস্থায়। সেখানেও আলো, পাখার কোনও ব্যবস্থা নেই। গরমের দাপটে ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অথচ, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পানীয় জল খাওয়ার অযোগ্য। রোগীর পরিবারের সদস্যদের দাবি, রোগীরা যাতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জল না খান, সে ব্যাপারে খোদ চিকিৎসকই সতর্ক করে দিয়েছেন। 

    পাখার অভাবে ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগীরা যে কষ্ট পাচ্ছেন, তা স্বীকার করে নিয়েছেন ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক অভিষেক মজুমদার। তিনি বলেন, একাধিক সিলিং ফ্যান অকেজো হয়ে রয়েছে। ফলে গরমে তো রোগীদের কষ্ট হবেই। তাঁর দাবি, অনেক বলার পর একটা স্ট্যান্ড ফ্যান দেওয়া হয়েছে। সেটা নিয়েই এখন একবার পুরুষ ওয়ার্ড, একবার মহিলা ওয়ার্ড করতে হচ্ছে। 

    মঙ্গলবার দুপুরে রংধামালি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাইরে দাঁড়িয়ে রোগী দেখছেন চিকিৎসক অভিষেক মজুমদার। রংধামালি চারেরবাড়ি এলাকার বাসিন্দা প্রহ্লাদ দাস বলেন, পেটের গোলমাল নিয়ে ভাইপো ভর্তি রয়েছে। পাখা থাকলেও ঘোরে না। একই অভিযোগ, বারোপাটিয়ার বাসিন্দা লিবিন ওরাওঁয়ের। বললেন, ডায়েরিয়া ওয়ার্ডে ফ্যান খারাপ। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। 

    চিকিৎসক অভিষেক মজুমদারের দাবি, ফ্যান চেয়ে উপরমহলে জানানো হয়েছে। সেখান থেকে না এলে আমরা কী আর করতে পারি। রাত্রিনিবাস তালাবন্ধ অবস্থায় পড়ে থাকা নিয়ে ওই চিকিৎসকের বক্তব্য, দু’বছর হল এখানে এসেছি। প্রথম থেকেই দেখছি, ওই রাত্রিনিবাসটি তালাবন্ধ। 

     নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)