বংশীহারিতে রাতে ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি চার দুষ্কৃতীর, শোরগোল
বর্তমান | ২৩ জুলাই ২০২৫
সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: বংশীহারিতে রাতে ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি চার দুষ্কৃতীর। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, জখম ব্যবসায়ীর নাম মনোজিৎ মণ্ডল। তাঁর বাড়ি বুনিয়াদপুর শহরের স্টেশন রোড সংলগ্ন এলাকায়। ব্যবসায়ীর কাঁধে ও গলায় গুলি লেগেছে। গলার গুলি বেরিয়ে গেলেও কাঁধেরটি আটকে। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অপারেশন করে গুলি বের করবেন চিকিৎসকরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত আনুমানিক ১০টার সময় একটি ছোট গাড়ি লক্ষ্য করে দু’টি বাইকে আসা দুষ্কৃতীরা আচমকা তিন থেকে চার রাউন্ড গুলি চালায়। বুনিয়াদপুরের ওই ব্যবসায়ী মালদহের গাজোল থেকে ওই গাড়িতে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় দুষ্কৃতীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকার ব্যাগ নিয়ে চম্পট দেয়। ঘটনার পর শুনশান ৫১২ নং জাতীয় সড়কে গুলিবিদ্ধ হয়ে গাড়িতেই পড়ে ছিলেন ব্যবসায়ী। স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাটি জানতে পেরে জখমকে রাতেই উদ্ধার করে প্রথমে গাজোল স্টেট জেনারেল হাসপাতাল ও পরে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন ব্যবসায়ী। ঘটনার খবর পেয়ে বংশীহারি ও হরিরামপুর থানার বিশাল পুলিস বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছন জেলা পুলিসের বড় কর্তারা।
জখম ব্যবসায়ীর পরিবার জানিয়েছে, মনোজবাবু সব্জির পাইকারি ব্যবসা করেন। গাজোলের আড়ত থেকে রাতে তিনি একাই গাড়ি চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। কয়েকদিন থেকে ব্যবসায়ীর গতিবিধিতে বাইক নিয়ে নজর রেখেছিল দুষ্কৃতীরা। পুরনো লেনদেনের কারণেই খুনের চেষ্টা, নাকি শুধুই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা ছিনতাই করার পরিকল্পনা ছিল দুষ্কৃতীদের, তা নিয়ে ধন্দে পুলিস। দুষ্কৃতীদের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়েছে। বংশীহারি থানায় মামলা রুজু করে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু হয়েছে।
জখম ব্যবসায়ী মনোজিৎ মণ্ডল বলেন, যে জায়গাতে ঘটনাটি ঘটেছে সেই জায়গার নাম কর্তীপাড়া মোড়। দু’টি বাইকে চার জন দুষ্কৃতী ছিল। আমার চলন্ত গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করে। আমার গুলি লাগতেই আমি গাড়ি থামিয়ে দিই। আমার কাছে কিছু টাকা ছিল। দুষ্কৃতীরা তা নিয়ে পালিয়ে যায়। জখম ব্যবসায়ীর ভাই মানিক মণ্ডল বলেন, দাদা সব্জি ব্যবসায়ী। গাজোল আড়তে ব্যবসার হিসেবে করে রাতে বাড়ি ফিরছিলেন। দৌলতপুর কর্তীপাড়ায় দাদার গাড়ি লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা গুলি করে। দাদার ব্যাগে তিন লক্ষ টাকা ছিল। সেই টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ার সময় ফের গুলি করে দুষ্কৃতীরা। আমরা রাতে খবর পেয়ে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছই। দাদা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিস আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, বংশীহারি থানার কর্তীপাড়া এলাকায় দুষ্কৃতীরা এক ব্যবসায়ীকে গুলি করেছে। মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। কী কারণে ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র।