• সিলিং ফ্যান বিকল, গাছতলায় রোগীদের ওষুধ বিতরণ, বিতর্ক
    বর্তমান | ২৩ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: সালানপুর ব্লকে একের পর এক সিলিকোসিস রোগী চিহ্নিত হচ্ছে। সিলিকোসিসে আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যুও ঘটছে। যা নিয়ে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর ব্যতিব্যস্ত। দফায় দফায় পরিদর্শকদের দল আসছে। বিশেষ শিবিরও করা হচ্ছে। সিলিকোসিসের পাশাপাশি সালানপুরে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যাও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। প্রতি মাসে গড়ে ১৪-১৫জন নতুন যক্ষ্মা রোগীর সন্ধান মিলছে। স্বাস্থ্যদপ্তর যক্ষ্মা রোগীদের চিহ্নিত করতে বিশেষ অভিযানও চালাচ্ছে। সিলিকোসিস ও যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে যখন স্বাস্থ্যদপ্তর নানা পদক্ষেপ করছে, তখন সালানপুরের ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র তথা পিঠকিয়ারি গ্রামীণ হাসপাতালে এনিয়ে উদাসীনতা ধরা পড়েছে।

    ওই গ্রামীণ হাসপাতালের যে রুম থেকে যক্ষ্মার ওষুধ দেওয়া হয়, তার সিলিংফ্যান খারাপ হয়ে গিয়েছে। বারবার জানানো হলেও কর্তৃপক্ষ ফ্যান সারাতে উদ্যোগী হয়নি। সেজন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপারভাইজার হাসপাতাল চত্বরে অশ্বত্থ গাছের তলায় ওষুধপত্র নিয়ে বসে পড়েন। সেখান থেকেই ওষুধ দেওয়া শুরু করেন। এখবর ছড়িয়ে পড়তেই সমালোচনা শুরু হয়। স্বাস্থ্যদপ্তর অস্বস্তিতে পড়ে। এরপরই ফ্যান সারানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। 

    মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শেখ মহম্মদ ইউনুস বলেন, জেলাজুড়েই যক্ষ্মা রোগী চিহ্নিতকরণে বিশেষ অভিযান চলছে। আমরা বহু নতুন রোগীর সন্ধান পাচ্ছি। এই পরিস্থিতিতে সালানপুরে যক্ষ্মা রোগীদের পরিষেবা দেওয়া নিয়ে কেন অবহেলা করা হয়েছে-তা খতিয়ে দেখা হবে। স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, যক্ষ্মা রোগী চিহ্নিত করতে‌ আটটি গ্রুপকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ধূমপায়ী, ডায়াবেটিক, যাঁদের পাঁচবছর আগে যক্ষ্মা হয়েছিল, যাঁদের পরিবারে কারও যক্ষ্মা আছে-ইত্যাদি। এই সমস্ত গ্রুপের মানুষের যক্ষ্মার ১০টি উপসর্গের মধ্যে কোনও একটি থাকলেই যক্ষ্মা পরীক্ষা করানো হচ্ছে। এর জেরে অনেক নতুন রোগী চিহ্নিত হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানান, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। চিকিৎসা হলে যক্ষ্মা রোগ সম্পূর্ণ নিরাময় হয়। কিন্তু সেই রোগ লুকিয়ে রাখলে বিপদ বাড়বে।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)