সুন্দরবনে নতুন করে ২৬৫ হেক্টর জমিতে ম্যানগ্রোভের চারা রোপণ
বর্তমান | ২৩ জুলাই ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ২৬৫ হেক্টর জমিতে ম্যানগ্রোভ গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। কেন্দ্রীয় সরকারের ম্যানগ্রোভ ইনিশিয়েটিভ ফর শোরলাইন হ্যাবিটেটস অ্যান্ড ট্যাঞ্জিবল ইনকামস (মিষ্টি) প্রকল্পের অধীনে এই কাজ হবে। কোন কোন জঙ্গলে ম্যানগ্রোভের চারা রোপণ করা হবে, তা কমবেশি চিহ্নিত করে ফেলেছেন বনদপ্তরের আধিকারিকরা। নতুন করে গজিয়ে ওঠা বেশ কিছু নদীর চরে ম্যানগ্রোভের চারা লাগানো হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রতি বছর নানা দুর্যোগ ও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই বাদাবন। সেই ক্ষতি পুষিয়ে দিতে নতুন করে চারা লাগানোর উপর জোর দিয়েছে সরকার। এখন রোপণ করা হলে ম্যানগ্রোভ গাছগুলি চার-পাঁচ বছর বাদে পূর্ণতা পাবে।
১০০ দিনের কাজের প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ম্যানগ্রোভের চারা লাগানোর কর্মসূচি অনেকটাই ধাক্কা খেয়েছে। যাঁরা এই কাজ করতেন, টাকা না মেলায় তাঁরা এখন বিকল্প পেশা বেছে নিয়েছেন। কিন্তু কেন্দ্র ম্যানগ্রোভের চারা রোপণের যে টার্গেট বেঁধে দিয়েছে, তা পূরণ করতে গ্রামবাসীদের একাংশকে কাজে লাগানোর কথা ভাবনাচিন্তা করছে বনবিভাগ। জানা গিয়েছে, এই কাজে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তার মধ্যে চারা কেনা থেকে শুরু করে যাঁরা গাছ লাগাবেন, তাঁদের মজুরি ধরা রয়েছে।
সূত্রের খবর, ঠাকুরান নদীর বহু জায়গায় নতুন করে চর গজিয়ে উঠেছে। সেইসব চরের মধ্যে কতগুলিতে চারা লাগানো হবে, তা খতিয়ে দেখছে দপ্তর। এছাড়া কাঁকরামারির চরেও ম্যানগ্রোভ রোপণের কর্মসূচি রাখা হয়েছে। বনবিভাগের এক আধিকারিক বলেন, প্রতি হেক্টরে অন্তত ১০ হাজার চারা লাগানো সম্ভব। সেক্ষেত্রে রামগঙ্গা রেঞ্জে ৫০ হেক্টর, নামখানা রেঞ্জে ৮০ হেক্টর এবং রায়দিঘি রেঞ্জে ১৩৫ হেক্টর জমিতে চারা লাগানো হবে। সব মিলিয়ে ১৪-১৫ লক্ষ চারা লাগবে। সুন্দরবনের বিভিন্ন ব্লকের নার্সারিগুলি থেকে এই চারা সংগ্রহ করা হবে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বনবিভাগ যেমন ম্যানগ্রোভের চারা রোপণ করবে, তেমনই জেলাশাসকের অফিস থেকে আরও কিছু এলাকায় এমন কর্মসূচি পালনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।