বাঙালি ‘হেনস্তা’র অভিযোগ ওড়াল ওড়িশা, প্রতিবাদে হাই কোর্টে সরব কল্যাণ
প্রতিদিন | ২৪ জুলাই ২০২৫
গোবিন্দ রায়: বাংলা ভাষা কথা বলায় ভিনরাজ্যে বাঙালি হেনস্তার অভিযোগে সরব রাজনৈতিক মহল। তার মাঝে রাজ্যের তোলা অভিযোগ খারিজ করে দিল ওড়িশা সরকার। প্রতিবাদে কলকাতা হাই কোর্টে সুর চড়ান রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ২৯ আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর বেঞ্চ ওইদিন বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের গ্রেপ্তার নাকি আটক করা হয়েছে সে সম্পর্কে ওড়িশা প্রশাসনের তরফে পুঙ্খানুপুঙ্খ হলফনামা তলব করেছে।
বুধবার ওড়িশা সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে ওড়িশার এজির মন্তব্য, “বাঙালিরা আমাদের ভাই। প্রতিবেশী। আমাদের বিরুদ্ধে এসব বলে বিভ্রান্ত করবেন না। আমাদের প্রধান বিচারপতি বাংলার। এখানে বাঙালি অবাঙালির কোনও বিষয় নেই। এদেশের নাগরিক কিনা সেটা যাচাই করা হচ্ছে।” রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তাহলে জানান, কতজন তামিল। কতজন গুজরাটিকে গ্রেপ্তার করেছেন? বাঙালিদের বেছে বেছেই কেন যাচাই করা হচ্ছে?”
এরপর বিচারপতি ওড়িশার এজিকে বলেন, “গ্রেপ্তার না আটক করা হয়েছে, আদালত জানতে চায়।” উত্তরে ওড়িশার অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, “কোনও গ্রেপ্তার হয়নি। ফরেনার্স আইন অনুযায়ী যাদের নাগরিকত্ব নিয়ে সন্দেহ হয়েছে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। এটা আইন মেনে ভেরিফিকেশন।” রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, “হঠাৎ করে কেউ বিদেশি হয়ে গেল? ওড়িশা সরকার কিসের ভিত্তিতে তাঁদের সন্দেহ করল? ৪০০ জন বাঙালিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।” পালটা ওড়িশার এজি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুরীতে আসার আমন্ত্রণ জানান। আগামী ২৯ আগস্ট মামলার শুনানি। ওড়িশা সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের গ্রেপ্তার নাকি আটক করেছে সে বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ হলফনামা তলব করেছে আদালত। কী জানায় ওড়িশা প্রশাসন সেটাই এখন দেখার।