পুজালির দশ কপাটে মান্ধাতা আমলের স্লুইস গেটের ভগ্নদশা, মাঝপথে বন্ধ নতুন নির্মাণও
বর্তমান | ২৪ জুলাই ২০২৫
সংবাদদাতা, বজবজ: পুজালি পুরসভার দশ কপাট সংলগ্ন মান্ধাতা আমলের স্লুইস গেটের ভগ্নপ্রায় দশা। তাই সেটি নতুন করে তৈরি করা হচ্ছিল। কিন্তু শুরুতেই কাজটি থমকে যাওয়ায় শোরগোল পড়েছে। অভিযোগ, ৩২ কোটির এই স্লুইস গেট প্রকল্পের পরিকল্পনাতেই ফাঁক ছিল। কাজ শুরুর পর তা নজরে আসে। তাই কাজ আপাতত বন্ধ। জেলা প্রশাসন সূত্রে অবশ্য বলা হচ্ছে, কাজ ঠিকই চলছিল। কিন্ত এবার এত দ্রুত বর্ষা এসে যেতে পারে, তা ভাবা যায়নি। বর্ষার কারণেই ওই স্লুইস গেটের কাজ করা যায়নি। তবে নভেম্বরে ফের তা চালু হয়ে যাবে। পুজালি পুরসভার প্রশাসক তথা চেয়ারম্যান তাপস বিশ্বাসেরও দাবি, বর্ষা তাড়াতাড়ি আসায় কাজ থমকে গিয়েছে।
পুজালির ২ এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সীমানা হুগলি নদীর তীরবর্তী দশ কপাটের কাছে এই স্লুইস গেট। পুজালি মৌজা, রামচন্দ্রপুর মৌজা, বজবজ, সাতগাছিয়া ছাড়াও বিষ্ণুপুর দুই ব্লকের সেচের জল এই স্লুইস গেট দিয়ে যায়। সব মিলিয়ে একাধিক ব্লকের কয়েক হাজার বিঘে জমি এই জলে চাষ হয়। ১৯৬৭ সালে তৈরি এই গেটটি ভগ্নপ্রায় অবস্থায়। যে কোনও সময় নদীর জলের চাপে তা ভেঙে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন এলাকার বাসিন্দারা।
এ নিয়ে উদ্বিগ্ন পুজালি পুরসভার চেয়ারম্যান থেকে স্থানীয় নাগরিকরা। বিষয়টি বিধায়কের মাধ্যমে সেচদপ্তরের নজরে আনা হয়। তাতে সেচদপ্তর নড়েচড়ে বসে।
গত জানুয়ারি থেকে কাজ শুরু হয়। ঠিক ছিল বর্ষার আগেই বেস লেভেলের কাজ শেষ করে ফেলা হবে। কিন্তু কাজের গতি ধীর হওয়ায় এবং মে থেকে মাঝে মাঝে বৃষ্টির জেরে সব পরিকল্পনা বানচাল হয়ে যায়। কাজ বন্ধ করে দিতে হয়। সেচদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, নদীর গায়ে এ ধরনের স্লুইস গেট করতে হলে অনেকদিক দেখে করতে হয়। বিশেষ করে নদীর জলস্তর এবং জোয়ার-ভাটার দিকে নজর দিতে হয়। কিন্তু এবার বৃষ্টি বেশি হওয়ার জন্য নদীতে জলস্তর সব সময়েই বেশি ছিল। তাই ঝুঁকি নেওয়া যায়নি।