• হাওড়া ও কাকদ্বীপে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা, নাবালক-সহ মৃত ৪, আহত ২
    প্রতিদিন | ২৪ জুলাই ২০২৫
  • অরিজিৎ গুপ্ত ও সুরজিৎ দেব: বুধবার গভীর রাতে রাজ্যের দুই এলাকায় পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল দুই নাবালক-সহ ৪ জনের। গুরুতর আহত ২। ঘটনা দু’টির একটি ঘটেছে হাওড়ার সাঁকরাইলে। সেখানে লরি ও বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে দুই নাবালকের। আহত ১। অন্যদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ পণ্যবাহী গাড়ির সঙ্গে টোটোর ধাক্কায় প্রাণ গেল দুই যাত্রীর। দুই ঘটনায় দেহ উদ্ধার করে তদন্তে নেমেছে স্থানীয় থানার পুলিশ।

    বুধবার রাতে হাওড়ার আন্দুল রোডে কদমতলার কাছে একটি চোদ্দো চাকার লরির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় বাইকের। বাইকে তিনজন ছিল। মৃতদুই নাবালকের নাম রাজ লস্কর ও ইরফান মোল্লা। দু’জনেরই বয়স ১৭ বছর। আহত শীল্টু মোল্লার বয়স ১৭-র মধ্যে। তারা প্রত্যেকেই মানিকপুর গোড়া বাঁধ এলাকার বাসিন্দা।

    এই দুর্ঘটনার পুরো ছবিটাই ধরা পড়ে রাস্তার সিসি ক্যামেরার ফুটেজে। সেই সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তিন নাবালক একটি বাইকে চেপে মালবোঝাই লরিটিকে বাঁ দিক দিয়ে ওভারটেক করছে। লরির চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইকটিকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে। তিন নাবালক বাইক -সহ লরির তলায় চলে যায়। একজনের মাথার উপর দিয়ে আরেকজনের শরীরের উপর দিয়ে লরির চাকা চলে যায়। অপর জন অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পায়। ঘটনার পরই তিনজনকে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা রাজ ও ইরফানকে মৃত ঘোষণা করেন।

    মর্মান্তিক এই ঘটনায় লরিটিকে আটক করেন স্থানীয় বাসিন্দা। রাতে আন্দুল রোড অবরোধ করে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। খবর পেয়ে সাঁকরাইল থানার পুলিশ এসে লরির চালককে গ্রেপ্তার করে। ঘাতক গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দর্জির কাজ করে টাকা পেয়ে ইরফান ঠিক করে সে রাজ ও শিল্টুকে নিয়ে মোবাইল ফোন কিনবে। কিন্তু রাজ ও শিল্টু ইরফানকে শর্ত দেয় আগে তাদের বিরিয়ানি খাওয়াতে হবে। সেই মতোই প্রথমে ইরফানের বাইকে চেপে তিনজন আলমপুরে যায়। সেখানে বিরিয়ানি খেয়ে তার পর তারা আন্দুলে মোবাইল কিনতে যাওয়ার জন্য রওনা দেয়। আন্দুলে মোবাইল কিনতে যাওয়ার সময়ই ঘটে দুর্ঘটনা।

    অন্যদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের পোল্ট্রি ফার্মের সামনে কাকদ্বীপ থেকে নামখানাগামী টোটোর সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ লাগে একটি পণ্যবাহী গাড়ির। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় টোটোয় থাকা দুই যাত্রীর। অন্যজন গুরতর আহত। তাকে কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কোস্টাল থানার পুলিশ। এখনও মৃত ও আহতদের কোনও পরিচয় জানা যায়নি। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা এলাকায়।
  • Link to this news (প্রতিদিন)