• শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা, মৃত্যুদণ্ড রদ করে ২ দোষীর ৬০ বছরের কারাদণ্ড দিল হাইকোর্ট
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৪ জুলাই ২০২৫
  • বয়স ছিল মাত্র পাঁচ বছর। নিরীহ সেই শিশুকন্যাকে ধর্ষণের পর নির্মল ভাবে খুন করেছিল দুই ব্যক্তি। ঝাড়গ্রামের সেই ঘটনায় ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে দুই ব্যক্তিকে আগেই মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল নিম্ন আদালত। তবে দুই অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড রদ করে কলকাতা হাইকোর্ট। সাজা কমিয়ে তাদের ৬০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে হাইকোর্ট। কোনওভাবেই মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।


    মামলার বয়ান অনুযায়ী, ২০২১ সালের নভেম্বরে ঝাড়গ্রামে ওই শিশুটিকে তার বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়। এরপর তাকে নির্মমভাবে যৌন নির্যাতন করা হয়। শেষ পর্যন্ত শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় তাকে। মৃতদেহটি পরে ঝোপের ধারে ফেলে দেওয়া হয়। তদন্তে পুলিশ দুই আসামিকে গ্রেফতার করে। নিম্ন আদালত সমস্ত প্রমাণ পর্যালোচনা করে তাদের ফাঁসির আদেশ দেয়। আসামিরা নিম্ন আদালতের রায় চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে আপিল করে। বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ মেডিক্যাল রিপোর্ট ও অন্যান্য প্রমাণ পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয় যে, শিশুটির ওপর যৌন নির্যাতন ও হত্যার ঘটনা সত্য। তবে, আদালত উল্লেখ করে যে, একজন আসামি মানসিকভাবে অসুস্থ এবং তার চিকিৎসা চলছে। দুজনই দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী ও নিরক্ষর। তাদের কোনও পূর্ববর্তী অপরাধের রেকর্ড নেই এবং জেলেও তারা শান্তভাবে আচরণ করেছে।

    এই কারণগুলো বিবেচনা করে হাইকোর্ট তাদের সংশোধনের সুযোগ দিতে চায় এবং মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে ৬০ বছরের কঠোর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছে যে এই সময়ের মধ্যে তাদের কোনওভাবেই মুক্তি মিলবে না।এটি প্রথমবার নয় যখন কলকাতা হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ড হ্রাস করে দীর্ঘমেয়াদী কারাদণ্ড দিয়েছে। আগেও একাধিক মামলায় একই ধরনের রায় দেওয়া হয়েছে, যেখানে অপরাধীদের সংশোধনের সুযোগ দেওয়ার পক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাইকোর্ট।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)