• ধান রোয়াতে গিয়ে মাথায় বাজ! রাজ্যে বজ্রপাতে প্রাণ গেল ১৫ জনের, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত- নিম্নচাপের জেরে শুরু ঝড়বৃষ্টি
    আনন্দবাজার | ২৪ জুলাই ২০২৫
  • বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত-নিম্নচাপের জেরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি শুরু জেলায় জেলায়। বৃহস্পতিবার বজ্রপাতে প্রাণও গেল ১৫ জনের। তাঁদের মধ্যে বাঁকুড়ার ন’জন। পূর্ব বর্ধমানের পাঁচ জন এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের এক জন। আহতও হয়েছেন অনেকে।

    আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস ছিলই। সেইমতোই বৃহস্পতিবার দুপুরে আকাশ কালো করে ঝেঁপে বৃষ্টি নামে বাঁকুড়ার বিভিন্ন প্রান্তে। ঝড়বৃষ্টির সঙ্গে প্রবল বজ্রপাতও হয়। তাতে কোতুলপুর, ওন্দা, ইন্দাস ও জয়পুর-সহ নানা জায়গায় পৃথক পৃথক ঘটনায় সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন দু’জন।

    প্রবল ঝড়বৃষ্টির মধ্যেই মাঠে আমন ধান রোপণ করতে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে কোতুলপুরের খিরি গ্রামের বাসিন্দা জিয়াউল হক মোল্লার। আহত হন আসপিয়া মোল্লা নামে আর এক জন। মাথায় বাজ পড়তেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। বাকিরা তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় গোগড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে জিয়াউল (৫০)-কে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আসপিয়া চিকিৎসাধীন।

    মাঠে ধান রোপণ করতে গিয়েই বজ্রপাতে মারা গিয়েছেন ওন্দার নারায়ণ সাওয়ার (৪৮)। ইন্দাসেও ইসমাইল মণ্ডল (৬০) নামে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হন এক জন। জয়পুর থানার খড়িকাশুলি গ্রামে মৃত্যু হয়েছে উত্তম ভুঁইয়া (৩৮) নামে এক ব্যক্তির।

    পূর্ব বর্ধমানেও যে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদেরও কেউ কেউ কৃষি শ্রমিক। মাঠে কাজ করার সময়েই বাজ পড়ে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের এক জন সনাতন পাত্র (৬০) মাধবডিহির বাসিন্দা। আর এক জন আউশগ্রামের সঞ্জয় হেমব্রম (২৮)। স্থানীয় সূত্রে খবর, মামার জমিতে ধান রোয়ার কাজ করতে গিয়েছিলেন সঞ্জয়। সেই সময়েই ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে বাজ পড়ে আহত হয়েছেন চার জন।

    পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের লাহিরগঞ্জে লক্ষ্মীকান্ত পান (৪২) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে বজ্রাঘাতে। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)