এ বার অনিশ্চয়তার মেঘ প্রেসিডেন্সিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়েও
আনন্দবাজার | ২৪ জুলাই ২০২৫
এ রাজ্যে স্নাতকে ভর্তি, জয়েন্টের ফল বা যাদবপুরে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার অনিশ্চয়তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এ বার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে ভর্তি নিয়েও চরম সঙ্কটের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের পরিচালনায় আগামী ২৭ জুলাই প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তরে ভর্তির প্রবেশিকার দিন ঠিক ছিল। কিন্তু, তার ফর্ম পূরণ করার প্রক্রিয়াই এখনও শুরু হয়নি। জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড সূত্রে ওই পরীক্ষা পিছোচ্ছে বলেই দাবি করা হচ্ছে।
এ রাজ্যে ওবিসি সংরক্ষণ নীতি নিয়ে জটের কারণেই এই পরিস্থিতি বলে রাজ্য শিক্ষা প্রশাসন সূত্রের খবর। জয়েন্টের ফল বেরোচ্ছে না। গত ২২ জুন প্রেসিডেন্সির স্নাতকে প্রবেশিকা পরীক্ষার ফল এখনও বেরোয়নি। এবং এখন স্নাতকোত্তরের প্রবেশিকা কবে হবে, সেটাই অনিশ্চিত। প্রেসিডেন্সির সমাজতত্ত্বের শিক্ষক উপল চক্রবর্তী বলছেন, “বিষয়টি নিয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। কর্তৃপক্ষ যা করণীয় করছেন। এমনিতেই চার বছরের স্নাতক পরীক্ষার দরুণ বেশ কিছু বিষয়ের পাঠক্রমে চরম নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। প্রেসিডেন্সির মতো ভাল প্রতিষ্ঠানে কিছু ভাল ছাত্র তা-ও আমরা পাই। কিন্তু এ বার ক’জনকে পাব, সংশয় তৈরি হচ্ছে।”
রসায়নের বিভাগীয় প্রধান অর্ণব হালদার বলেন, “আমাদের ছাত্রেরা যারা কোনও আইআইটি বা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে গেল না, তারা চরম উৎকণ্ঠায় আছে। সার্বিক ভাবে রাজ্যে উচ্চ শিক্ষার এ এক বড় সঙ্কটের পরিস্থিতি।” অর্ণবের কথায়, “যতটুকু জানি, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে দরকারি আইনি পরামর্শ নেওয়া থেকে যা যা করার করা হয়েছে। জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের সঙ্গে ওঁরা কথা বলেছেন। কিন্তু বোর্ড কিছুই করছে না।”
এসএফআই-এর রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা প্রেসিডেন্সির স্নাতকোত্তরের ছাত্র বিতান ইসলামের মতে, “স্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় হয়েও প্রেসিডেন্সিকে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের মুখ চেয়ে থাকতে হলে আর হল কী! এর পরে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা ছাড়া গতি থাকবে না।” বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে চাননি প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষ।