কসবার দক্ষিণ কলকাতা আইন কলেজের অপরাধের ঘটনার ছায়ায় সরকারি আইন কলেজে সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠে এসেছে। এই পটভূমিতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ডিনকে সরিয়ে ছ’মাসের জন্য নতুন ডিন নিয়োগ করা হল। নতুন ডিন নিযুক্ত হয়েছেন ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সন্দীপ মণ্ডল। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পরেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের বৈঠকে মঙ্গলবার বিষয়টি পেশকরা হয়।
খাতায়-কলমে অবশ্য বলা হয়েছে পূর্বতন ডিন জ্যোতিন্দ্রকুমার দাস দফায় দফায় বছর তিনেক তাঁর পদে ছিলেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ীই, তাঁর মেয়াদ ফুরিয়েছে। কিন্তু এই পর্বে বার কাউন্সিলের সঙ্গে এক ধরনের যোগাযোগহীনতা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিচলিত করেছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চারটি সরকারি কলেজ-সহ ১৪টি কলেজে আইনের শিক্ষাক্রমের জন্য বার কাউন্সিলের নথিভুক্তি লাগে। এই কাজটি দীর্ঘ দিন বাকি থাকায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বৈঠকে আগেও আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি ওমপ্রকাশ মিশ্র।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেবাশিস দাস বুধবার বলেন, “দীর্ঘদিন বার কাউন্সিলের থেকে আসা নানা রিপোর্ট আমরা পাচ্ছিলাম না। সব কলেজের যে বার কাউন্সিলের অ্যাফিলিয়েশন (অধিভুক্তি) নেই তাও জানা ছিল না। এখন টাকা জমা দেওয়া হয়েছে। আমরা যোগাযোগ করছি। আশা করছি, জট কেটে যাবে।” বার কাউন্সিলের নথিভুক্তি না থাকায় পাঁচ বছরের বিএ এলএলবি অনার্স কোর্সে কিছু সমস্যা হচ্ছিল বলেও রেজিস্ট্রার জানিয়েছেন। পঞ্চম সিমেস্টারের শেষে বাছাই কৃতী শিক্ষার্থী অনার্স পান। তাঁদের ৮টি বিষয় বেশি পড়তে হয়। এখন ষষ্ঠ সিমেস্টারের পরীক্ষা ঘোষণা হয়ে গেলেও কারা অনার্স পাচ্ছেন তা জানানো হয়নি। এই অনার্সে সুযোগের সূত্রে বেসরকারি কলেজ থেকেও শিক্ষার্থীরা সরকারি কলেজে সুযোগ পেয়ে থাকেন। বিষয়টি নিয়েও কিছু অনিয়মের অভিযোগ এখন খতিয়ে দেখছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আইন শাখার একটি উপদেষ্টা মণ্ডলীও গড়ে দেওয়া হয়েছে।
ওবিসি জট ইত্যাদির জেরে আইনের প্রবেশিকা পরীক্ষা কবে হবে তাও পরিষ্কার নয়। সিন্ডিকেট বৈঠকে যত দূর সম্ভব স্বচ্ছতার সঙ্গে ওই পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলা হয়।