• মুর্মূষু রোগীর মৃত্যুতে ‘দাদাগিরি’ বিজেপি নেতার! ভাঙচুর শ্রীরামপুর শ্রমজীবী হাসপাতালের আইসিইউতে
    প্রতিদিন | ২৫ জুলাই ২০২৫
  • সুমন করাতি, হুগলি: মুর্মূষু রোগীর মৃত্যু ঘিরে ধুন্ধুমার শ্রীরামপুর শ্রমজীবী হাসপাতালে।  আইসিইউ ভাঙচুর ও দাদাগিরির অভিযোগ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। চিকিৎসক, নার্স ও  হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীদের হেনস্তা, গালিগালাজ ও ধাক্কাধাক্কিরও অভিযোগ উঠেছে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। ঘটনায় চরম আতঙ্কে রোগী ও তাঁদের পরিবার। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

    ঘটনার সূত্রপাত এক মুর্মূষু রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০ জুলাই শ্রীরামপুর প্রবাসনগরের বাসিন্দা বিমলা দেবী প্রবল শ্বাসকষ্ট ও বার্ধক্যজনিত নানা জটিল সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর হাসপাতালের তরফে তাঁর পরিবারকে জানানো হয়, বিমলা দেবীর শারীরিক অবস্থা সংকটজনক। অন্য হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন তাঁরা। পরিবার যদি শ্রমজীবী হাসপাতালেই রাখতে চান তাহলে, উচ্চ ঝুঁকি সম্পর্কিত বন্ডে সই করতে হবে। সেই শর্তেই রাজি হন বিমলা দেবীর পরিবার। গত চারদিন ধরে ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন বিমলা দেবী।

    আজ, বৃহস্পতিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরই নানা অভিযোগ তুলতে শুরু করে বৃদ্ধার পরিবার। জনৈক হরি মিশ্র হাসপাতালের আইসিইউতে হামলা চালান। যন্ত্রপাতি ভাঙচুর করেন। ঘটনায় আইসিইউতে ভর্তি থাকা অন্য রোগীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তাঁরা অনেকেই অসুস্থ বোধ করেন। বাধা দিতে গেলে চিকিৎসক, নার্স ও হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীদের হেনস্তা ও গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ।

    হাসপাতালের সহ-সম্পাদক গৌতম সরকার শ্রীরামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি বলেন, “হাসপাতালের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে তা কর্তৃপক্ষ বা প্রশাসনের কাছে জানানো উচিত। তা না করে আইসিইউর মতো সংবেদনশীল জায়গায় হামলা করা চূড়ান্ত অমানবিকই নয়, অনৈতিকও। তিনি যে দলের কর্মী বলে নিজেকে পরিচয় দিচ্ছেন সেই দলেরও উচিত উপযুক্ত পদক্ষেপ করার।” হাসপাতালের সম্পাদক চিকিৎসক অনিল সাহা বলেন, “আমরা যে কোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)