• উচ্চমাধ্যমিকে প্রথমবার ওএমআর শিটে পরীক্ষা, ফলপ্রকাশের আগেই জানা যাবে নম্বর
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৫ জুলাই ২০২৫
  • এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় যুক্ত হচ্ছে নতুন ব্যবস্থা। যে পদ্ধতি এতদিন ইঞ্জিনিয়ারিং জয়েন্ট কিংবা শিক্ষক নিয়োগের মতো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এবার সেই ব্যবস্থাই চালু হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক স্তরেও। আসন্ন প্রথম সেমেস্টারের পরীক্ষায় ছাত্রছাত্রীরা উত্তর দেবে ওএমআর শিটে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই প্রকাশ করা হবে মডেল উত্তরপত্র বা ‘আনসার কি’। তার সঙ্গে নিজেদের উত্তর মিলিয়ে সম্ভাব্য নম্বরও আগে থেকেই বুঝে নিতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা।


    উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের এই সিদ্ধান্ত ঘিরে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলে তৈরি হয়েছে কৌতূহল। সংসদ সূত্রের খবর, পরীক্ষার শেষে ফলাফলের অপেক্ষা না করে আগেই নম্বর বুঝে নেওয়ার সুযোগ দেবে এই পদ্ধতি। এতে স্বচ্ছতা যেমন বাড়বে, তেমনই কমবে মানসিক চাপ। ওএমআর শিটে কীভাবে উত্তর দিতে হবে, তা নিয়েও স্পষ্ট নির্দেশিকা জারি করেছে সংসদ।পরীক্ষার্থীদের বলা হয়েছে, শুধুমাত্র কালো বা নীল বলপয়েন্ট পেন ব্যবহার করতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের চারটি বিকল্পের মধ্যে সঠিক উত্তর যেটি, তার সঙ্গে থাকা বৃত্ত সম্পূর্ণভাবে কালিতে ভরাট করতে হবে। কোনওভাবেই টিক বা ক্রস চিহ্ন দেওয়া যাবে না। বৃত্তের মধ্যে ফাঁকা জায়গা থাকলে অথবা কালি বাইরে ছড়িয়ে পড়লে সেই উত্তর গ্রহণযোগ্য হবে না।

    এছাড়া, ওএমআর শিট যেন ভাঁজ না হয় বা দাগ না পড়ে, সেদিকেও নজর রাখতে বলা হয়েছে। কারণ, কম্পিউটার-চালিত স্ক্যানিং পদ্ধতিতে এই উত্তরপত্র মূল্যায়ন হয়। ফলে সামান্যতম খামতি থাকলে স্ক্যানার সেটি পড়তে ব্যর্থ হবে এবং উত্তরপত্র বাতিল হয়ে যেতে পারে। বৃষ্টির সম্ভাবনা মাথায় রেখে বিশেষ পলিথিন প্যাকেটের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে উত্তরপত্র সংরক্ষণের জন্য।

    ওএমআরের স্ক্যান কপি ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে পরীক্ষার পর। কার্বন কপি দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট করেছে সংসদ। তবে মডেল উত্তরপত্র দেখে কেউ যদি কোনও ভুল চিহ্নিত করেন, তা জানিয়ে সংশোধনের আবেদন করতে পারবেন কিনা, সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।সংসদের এক আধিকারিক জানান, এই পদ্ধতি পরীক্ষার নিরপেক্ষতা এবং দক্ষতা দুই-ই বাড়াবে। প্রথমবার বলেই অতিরিক্ত সতর্কতা রাখা হচ্ছে। ছাত্রছাত্রীদের সচেতন করাই এখন মূল লক্ষ্য।

    এদিকে, চতুর্থ তথা ফাইনাল সেমেস্টারে সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার ব্যবস্থা চালু নিয়ে একটি খসড়া প্রস্তাব মঙ্গলবার সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যের হাতে তুলে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু আশা প্রকাশ করেছেন, বহুদিনের দাবি মেনে এবার অন্তত উচ্চমাধ্যমিকে অতিরিক্ত পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ মিলবে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)