আরজিকর আন্দোলনের সময় প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন। বাম ঘেঁষা সেই চিকিৎসকদের বিরুদ্ধেই হাসপাতালের ভিতরে ডিজে বাজিয়ে উদ্দাম নৃত্য করে পার্টি করার অভিযোগ উঠল। গত ১৯ জুলাই রাতে এনআরএস হাসপাতালের মধ্যেই উদ্দাম পার্টি করলেন তাঁরা। তা ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
ঘটনাটি ঘটেছে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের বয়েজ হস্টেলের ব্যাডমিন্টন কোর্টে। ভিডিয়ো-সহ দৃশ্য ভাইরাল হতেই চিকিৎসক মহলের মধ্যেই শুরু হয়েছে চাপানউতোর। প্রশ্ন উঠেছে, হাসপাতালের মতো সংবেদনশীল পরিবেশে, যেখানে সেকেন্ডে সেকেন্ডে বাঁচা-মরার লড়াই চলে, সেখানে কীরকম করে এমন পার্টি হতে পারে? বিশেষত এই পার্টি চলেছে যেখানে, সেখান থেকে মাত্র কয়েক কদম দূরেই রয়েছে কলেজ অধ্যক্ষের অফিস। শব্দবিধি অনুযায়ী, হাসপাতালের ১০০ মিটারের মধ্যে উচ্চ শব্দ নিষিদ্ধ। অথচ সেদিন হাসপাতালের ভিতরেই চলেছে চড়া সাউন্ডে গান-বাজনা। চোখে পড়ার মতো বিষয় এই ডিজে পার্টির আয়োজকদের মধ্যে অনেকে সেই বামঘেঁষা জুনিয়র চিকিৎসকদের অন্তর্ভুক্ত, যাঁরা চিকিৎসা ক্ষেত্রে নানাবিধ দুর্নীতি, নিরাপত্তাহীনতা ও যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে একাধিকবার আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন। তাঁরা লালবাজার অভিযান করেছিলেন, পুজোতে মিছিল করে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। এবার সেই মুখগুলিই হাসপাতালের আবাসনে ডিজে পার্টির কেন্দ্রবিন্দুতে, সঙ্গে সিগারেট, অ্যালকোহল, উদ্দাম নাচগান করার অভিযোগ।
এই ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে, চিকিৎসকদের ন্যায্য দাবির পাশে আমরা থাকি সবসময়। কিন্তু আন্দোলনের মুখ হয়ে আবার এমন দ্বিচারিতা মেনে নেওয়া যায় না। যারা একদিকে প্রতিবাদী সেজে অন্যদিকে হাসপাতালের পরিবেশকে নষ্ট করে, তাদের এই আচরণে ধিক্কার জানানো হচ্ছে। ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যেই তৎপর প্রশাসন। এক প্রতিক্রিয়ায় মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ ইন্দিরা দে জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনা কোনও ভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।