• শোক মিছিলে পা মেলালেন আইআইটি খড়্গপুরের ডিরেক্টর, কথা অভিভাবকদের সঙ্গেও
    এই সময় | ২৫ জুলাই ২০২৫
  • আইআইটি খড়্গপুরের ইতিহাসে হয়তো এই প্রথম। মৃত দুই ছাত্রের স্মরণে শোক মিছিলে পড়ুয়াদের সঙ্গেই পা মেলালেন প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর অধ্যাপক সুমন চক্রবর্তী। শুধু তাই নয়, মিছিলের পরই তিনি সটান চলে গিয়েছেন সদ্য ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের কাছেও। ক্যাম্পাসে একের পর এক পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে চিন্তিত অভিভাবকদের আশ্বস্ত করেছেন তিনি। সেই সঙ্গেই দিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরামর্শও।

    গত তিন বছরে আইআইটি খড়্গপুরের আট পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। শুধুমাত্র চলতি বছরেই এখনও পর্যন্ত ৫ জন পড়ুয়া প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে গত এক সপ্তাহেই মৃত্যু হয়েছে দুই পড়ুয়ার। তাঁদের স্মরণেই শোক মিছিলের আয়োজন করেছিলেন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা। বুধবার রাতে, ওই মিছিলেই মোমবাতি হাতে পা মেলান আইআইটি খড়্গপুরের ডিরেক্টর।

    কেন পড়ুয়াদের এই শোক মিছিলে আইআইটি খড়্গপুরের ডিরেক্টর? তিনি বলেন, ‘ওই ছাত্রদের মৃত্যু তাঁদের পরিবার বা সহপাঠীদের কাছে যতটা যন্ত্রণার, আমার কাছেও ঠিক ততটাই। ডিরেক্টর হিসেবে নয়, একজন অভিভাবক ও শিক্ষক হিসেবেই শোক-মিছিলে হেঁটেছি। তাঁদের স্মরণ করেছি। আর পড়ুয়াদের আবারও বার্তা দিয়েছি যে সবকিছুর ঊর্ধ্বে জীবন। তারপর বাকি সবকিছু।’

    বুধবার রাতে খড়্গপুর আইআইটি ক্যাম্পাসে মোমবাতি মিছিল বের হয় নেহেরু হল থেকে। রাজেন্দ্র প্রসাদ হল হয়ে তা জিমখানায় গিয়ে শেষ হয়। সেখানে একটি স্মরণ সভা হয়।  তার পরই ডিরেক্টর চলে যান লালবাহাদুর শাস্ত্রী হলের সামনে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন নতুন ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকরা। তাঁদের সাথে কথা বলেন তিনি।

    অভিভাবকদের কি বললেন ডিরেক্টর?

    খড়্গপুর আইআইটির ডিরেক্টর তথা মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর প্রথিতযশা বিজ্ঞানী সুমন চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা সবসময়ই এই পড়ুয়াদের খেয়াল রাখব। ওদের জীবনের মূল্যই আমাদের কাছে সর্বাধিক।’

    এরই সঙ্গে অভিভাবকদেরকেও এই পড়ুয়াদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। পড়ুয়াদের মধ্যে কখনও কিছু অস্বাভাবিক আচরণ বা হতাশা লক্ষ্য করলেই তাঁদের জানানোর কথা বলেছেন তিনি। সেই সঙ্গেই পড়ুয়াদের ওপর চাপ সৃষ্টি  না করার কথাও বলেছেন তিনি।

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত যে পাঁচ পড়ুয়া মারা গিয়েছেন তাঁদের মধ্যে চার জন আত্মহত্যা করেছেন।   জেলা পুলিশ ও আইআইটি খড়্গপুর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব টাস্কফোর্সের তদন্তে জানা গিয়েছে, মানসিক অবসাদের কারণেই ওই পড়ুয়ারা আত্মঘাতী হন। পড়ুয়াদের আত্মহত্যার প্রবণতা রুখতে ইতিমধ্যেই বেশি কিছু পদক্ষেপ করেছে আইআইটি কর্তৃপক্ষ।

  • Link to this news (এই সময়)