বেআইনিভাবে চলছে বেশ কয়েকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই সেগুলি বন্ধের নির্দেশ দিল নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলা দপ্তর। ওই এলাকায় ২২ টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে বন্ধের নোটিস দেওয়া হয়েছে। এরই পাশাপাশি অন্য ডায়াগনস্টিক সেন্টার নিয়েও তথ্য সংগ্রহ করার কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন আধিকারিকরা।
স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতেই এই অভিযান বলে জানিয়েছেন নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলা দপ্তরের আধিকারিকরা। নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসিত কুমার দেওয়ান জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ২২টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে বন্ধের নোটিস দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে, কেন এতদিন সরকারি অনুমতি না নিয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালানো হয়েছে তার কারণ দর্শানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সাত দিনের মধ্যেই এই শোকজের দিতে হবে ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলির কর্তৃপক্ষকে বলে জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি এবং হলদিয়া মহকুমার ১১টি ব্লক এবং কাঁথি পৌরসভা নিয়ে গঠিত নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলা। নন্দীগ্রাম, চণ্ডীপুর, হেঁড়িয়া, কাঁথি, রামনগর এবং দিঘা এলাকায় রাজ্য স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অনুমোদনপ্রাপ্ত ৪৮টি নার্সিংহোম এবং ১৩৮টি ডায়গনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এর বাইরেও বেশ কিছু জায়গায় বেআইনি ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ।
প্রশাসন এবং জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, গত দেড় মাস ধরে বেআইনি ডায়াগনস্টিক সেন্টার নিয়ে অভিযান চালানো হয়। প্রথম পর্বের এই অভিযানে সবচেয়ে বেশি বেআইনি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ধরা পড়েছে চণ্ডীপুর ব্লকে। চণ্ডীপুর ব্লক এলাকায় ১২টি ডায়গনস্টিক সেন্টার এতদিন বেআইনিভাবে চলছিল । এরই পাশাপাশি নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকে টেঙ্গুয়া, মহম্মদপুর এবং নন্দীগ্রাম বাজারে ৫টি এবং নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকে ৩টি বেআইনি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। হেঁড়িয়া এবং মাধাখালিতে ১টি করে এই রকম সেন্টারের হদিশ মিলেছে।
নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার থেকেই ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলির সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই সেন্টারগুলি এত দিন এতদিন মানুষকে ভুল রিপোর্ট দিয়েছে কি না বা পরীক্ষার নামে কত টাকা নিয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চিহ্নিত বেআইনি ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলি যাতে না খোলা হয়, সেজন্য সংশ্লিষ্ট থানাগুলিকেও নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার তরফে সতর্ক করা হয়েছে।