• মানিকচকের গোপালপুরে গঙ্গা ভাঙন, বাঁধের কাজ নিম্নমানের, অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ
    বর্তমান | ২৫ জুলাই ২০২৫
  • সংবাদদাতা, মানিকচক: মানিকচকের গোপালপুরে গঙ্গার ভাঙন রোধে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার কাজ বন্ধ করে দিলেন কামালতিপুরের বাসিন্দারা। বলপূর্বক কাজ করতে গেলে ঠিকাদারের সঙ্গে স্থানীয়দের বচসা লেগে যায়। ফলে প্রায় দুই ঘণ্টা কাজ বন্ধ থাকে। যতক্ষণ সঠিক ভাবে হবে না, ততক্ষণ কাজ বন্ধ রাখার দাবি তোলেন বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন সেচদপ্তরের আধিকারিক, মালদহের মহকুমা শাসক ও মানিকচকের বিডিও। তাঁরা গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং যথাযথ  কাজের আশ্বাস দিলে দু’ঘণ্টা পর কাজ শুরু হয়। অন্যদিকে, তিন দিন কাজ বন্ধ থাকার পর রতুয়া-১ ব্লকের পশ্চিম রতনপুরে এদিন থেকে ভাঙন রোধের কাজ শুরু হয়েছে।

    গোপালপুরে একমাসের বেশি সময় গঙ্গা ভাঙন রোধের কাজ চলছে। শুরু থেকেই কাজের মান নিয়ে অভিযোগ তুলছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেসময় প্রশাসনের আশ্বাসে কাজ শুরু হয়। কিন্তু এদিন ভাঙনের জেরে গোপালপুরের কামালতিপুরে জামে মসজিদ ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় নিম্নমানের কাজের অভিযোগ তুলে তা বন্ধ করেন স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, ১৪ কোটি টাকার কাজ হচ্ছে। অথচ ভাঙন অব্যাহত। দু’বছর ধরে প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছি। শুধু সামান্য বালির বস্তা ফেলে কাজ সেরে দেয় সেচদপ্তর। এখন বেশি নৌকা ব্যবহার করে দ্রুত কাজ করা দরকার। অথচ মাত্র দু’টি নৌকা ব্যবহার করা হচ্ছে। ভাঙন হচ্ছে, তাহলে এই কাজ করে কী লাভ। তাই  বাধ্য হয়ে কাজ বন্ধ করেন স্থানীয়রা। স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ মহসিন আলি বলেন, কাজের বদলে টাকা লুট হচ্ছে।

    মালদহ জেলা সেচ দপ্তরের সুপরিনন্টেডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, গোপালপুরে ভাঙন কবলিত অংশে বিহারের প্রযুক্তিতে অর্থাৎ বাম্বু ব্যান্ডালিং কৌশলে কাজ করা হবে। এই পদ্ধতি সফল হলে মালদহের অন্যান্য এলাকাতেও এই পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)