দার্জিলিং মেলের ফার্স্ট ক্লাস থেকে খগেশ্বর রায়ের ফোন চুরি!
বর্তমান | ২৫ জুলাই ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি ও সংবাদদাতা, রাজগঞ্জ: দার্জিলিং মেলের এসি ফার্স্ট ক্লাস কামরা থেকে রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের জোড়া ফোন চুরি! চলন্ত ট্রেনে কুপের দরজা খুলে বাথরুমে গিয়েছিলেন বিধায়ক। কয়েক মিনিট পর ফিরে এসে দেখেন, কুপের টেবিলে রেখে যাওয়া তাঁর দু’টি ফোনই উধাও। দার্জিলিং মেলের মতো ঐতিহ্যবাহী ট্রেনে এসি ফার্স্ট ক্লাসে এ ধরনের চুরির ঘটনায় তাজ্জব দীর্ঘদিনের বিধায়ক খগেশ্বরবাবু।
এনিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে এনজেপিতে নেমে রেল পুলিসের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সঙ্গে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, প্রায় কুড়ি বছর ধরে দার্জিলিং মেলে নিয়মিত কলকাতায় যাতায়াত করছি। গত কয়েক বছর ধরে ট্রেনের পরিষেবার যা হাল হয়েছে, তা আর বলার নয়। সেইসঙ্গে নিরাপত্তা বলেও কিছুই নেই। খগেশ্বরবাবু প্রশ্ন, এসি ফার্স্ট ক্লাসে অ্যাটেনডেন্ট থাকেন। তারপরও কীভাবে কুপ থেকে ফোন চুরির ঘটনা ঘটতে পারে? এসি ফার্স্ট ক্লাসে যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটে, সেক্ষেত্রে যাঁরা স্লিপার ক্লাসে যাতায়াত করছেন, তাঁদের নিরাপত্তা কোথায়? এনিয়ে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জলকিশোর শর্মা বলেন, অভিযোগ জমা পড়েছে। সম্ভবত পূর্ব রেলের অধীনে পাকুড়ের কাছাকাছি ঘটনাটি ঘটেছে। রেল বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।
একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে যোগ দিতে কলকাতায় গিয়েছিলেন রাজগঞ্জের বিধায়ক। বিধানসভায় কিছু কাজ থাকায় সবটা সেরে বুধবার রাতে শিয়ালদহ থেকে বাড়ি ফেরার ট্রেন ধরেন তিনি। খগেশ্বরবাবু বলেন, কুপের দরজা খুলে বাথরুমে গিয়েছিলাম। দু-তিন মিনিটের মধ্যে ফিরে এসে দেখি, আমার দু’টি ফোনই নেই। বিষয়টি কোচ অ্যাটেনডেন্টকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও সদুত্তর মেলেনি। ট্রেন মালদহে পৌঁছলে বিষয়টি জিআরপিকে জানাই। এনজেপিতে নেমে রেল পুলিসের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।