এটিএম লুট গ্যাংয়ের তিন সদস্যকে হেফাজতে নিতে চাইছে রায়গঞ্জ থানা
বর্তমান | ২৫ জুলাই ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: ইটাহার থানার পর এটিএম লুট গ্যাংয়ের তিন সদস্যকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইছে রায়গঞ্জ থানা। বৃহস্পতিবার একধাপ এগিয়ে গেল সেই প্রক্রিয়া। রায়গঞ্জ জেলা সংশোধনাগারে থাকা ভিনরাজ্যের সেই তিন অভিযুক্ত, এদিন টিআই প্যারেডের মাধ্যমে চিহ্নিত হয়েছে। এবার জেলা আদালতে আবেদন জানিয়ে তাদের হেফাজতে নেবে রায়গঞ্জ থানা।
গত ৭ মার্চ রাতে একযোগে ইটাহার ও রায়গঞ্জের দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে মোট নগদ ৪৮ লক্ষ টাকা লুট হয়। যা নিয়ে রায়গঞ্জ পুলিস তদন্তে নেমে সেসময় দু’জনকে গ্রেপ্তারও করে। কিন্তু এটিএম লুট কাণ্ডের মূল অপরাধীদের হদিশ মেলেনি।
শেষপর্যন্ত জলপাইগুড়ি জেলা পুলিসের হাতে গত মাসে এটিএম লুট গ্যাংয়ের তিন সদস্য ধরা পড়ে। তারা হল নরেশ রাম ওরফে রাজু, ইরফান খান ওরফে ছাতি ও মহম্মদ সামসের। পুলিসি তদন্ত প্রক্রিয়ায় জানা যায়, তারা তিন জনই ইটাহার ও রায়গঞ্জে এটিএম লুটের মূল কারিগর। এরপরই জলপাইগুড়ি পুলিসের তদন্তপর্ব মিটতেই ইটাহার থানার পুলিস তিন জনকে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত চালায়। তাদের তদন্তপর্ব সম্প্রতি মিটতেই ওই তিন জনের ঠাঁই হয় রায়গঞ্জ জেলা সংশোধনাগারে। এবার ৭ মার্চের এটিএম লুটের ঘটনায় রায়গঞ্জ থানার পুলিস তাদের হেফাজতে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এদিন টিআই প্যারেডে রাজু, ইরফান, মহম্মদ সামসেরদের চিহ্নিত করা হয়েছে।
রায়গঞ্জের পুলিস সুপার সানা আখতার বলেন, এটিএম লুটের ঘটনায় আগে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এবার আরও তিন জনকে হেফাজতে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিস। শীঘ্রই তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। রায়গঞ্জের এটিএম লুট কাণ্ডে মোট পাঁচ জনের হদিশ পাওয়া গেল। পুলিস লুটকাণ্ডের বিস্তারিত তদন্ত করছে।