কোচবিহার রাজবাড়ি সংস্কার ও সংরক্ষণের দাবিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি জগদীশচন্দ্রের
বর্তমান | ২৫ জুলাই ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: কোচবিহারের রাজবাড়ি সংস্কার, আধুনিকীকরণ ও সংরক্ষণের আবেদন জানিয়ে এবার কেন্দ্রীয় পর্যটন এবং সংস্কৃতি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতকে চিঠি দিলেন সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর হাতে চিঠি তুলে দিয়েছেন। কোচবিহারের রাজবাড়ি সংরক্ষণ, সংস্কার,পর্যটকদের জন্য সমস্ত ঘর খুলে দেওয়া, রাজবাড়িকে আলোকিত করা সহ একাধিক বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দাবি রয়েছে।
সম্প্রতি এমন অভিযোগও উঠতে শুরু করেছে যে, জেলায় ছয়জন বিজেপি বিধায়ক ও এক প্রাক্তন রাষ্ট্রমন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও রাজবাড়ির কোনও উন্নয়ন হয়নি। এই পরিস্থিতিতে কোচবিহারের সাংসদ এই চিঠি দিলেন। রাজবাড়িতে আসা পর্যটকদের থেকে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার বছরে যে আয় হয় তার তুলনায় রাজবাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের খাতে খরচ খুবই কম বলে তথ্য সহ সেই চিঠিতে সাংসদ তা তুলে ধরেছেন।
কোচবিহারের সাংসদ বলেন, রাজবাড়িতে ৬৮টি ঘর রয়েছে। তার মধ্যে মাত্র আটটি ঘর খোলা হয়। বাকিগুলি বন্ধ থাকে। ওখানে কর্মীর সংখ্যাও কম। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ হয় না। রাজবাড়ি থেকে প্রচুর টাকা আয় হয়। কোনও বছর তা এক কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের ব্যয় খুব কম। আরও ঘর খুলে দিলে মানুষের আকর্ষণ আরও বাড়বে। এসব বিষয় নিয়ে আমি চিঠি দিয়েছি। মন্ত্রী রাজস্থানের মানুষ। তিনি বলেছেন, তাঁদের রানিমার (গায়ত্রীদেবী) এটা বাপের বাড়ি। ভালো আলোচনা হয়েছে। তিনি গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি দেখেছেন।
চিঠিতে সাংসদ উল্লেখ করেছেন, ২০২১-’২২ সালে রাজবাড়িতে মোট এক লক্ষ ৭৪ হাজার ৫৬ জন পর্যটক এসেছেন। আয় হয়েছে ৪৩ লক্ষ ৫২ হাজার ৭৭৫ টাকা। রাজবাড়ি সংরক্ষণে ওই বছর খরচ করা হয়েছিল ৩৬ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। ২০২২-’২৩ সালে মোট ছয় লক্ষ ৮০৩ জন পর্যটক এসেছেন। আয় হয়েছিল এক কোটি ৫০ লক্ষ ৪০ হাজার ৪২৫ টাকা। ব্যয় হয়েছিল মাত্র ২৮ লক্ষ এক হাজার টাকা। ২০২৩-’২৪ সালে মোট ছয় লক্ষ ৭৭ হাজার ৬৫ জন পর্যটক এসেছেন। আয় হয়েছিল এক কোটি ৬৯ লক্ষ ৬১ হাজার ৮২৫ টাকা। সেখানে রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে খরচ করা হয়েছিল মাত্র ৩১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। এই বিপুল পরিমাণ নিজস্ব আয় থাকা সত্ত্বেও কেন রক্ষণাবেক্ষণের খাতে সামান্য পরিমাণ টাকা খরচ করা হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতকে চিঠি তুলে দিচ্ছেন জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া।