• মাইথন, পাঞ্চেতে পর্যটক টানতে ওয়াটার স্পোর্টস ও রিসর্ট তৈরির ভাবনা ডিভিসির
    বর্তমান | ২৫ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: সার্ফিং, জেট স্কিইং, ওয়াটার স্কিইংয়ের মতো অ্যাডভেঞ্চার ওয়াটার স্পোর্টসের আয়োজন করে মাইথন, পাঞ্চেত, তিলাইয়ার মতো বিশাল জলাধারগুলি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে চাইছে ডিভিসি। শুধু ওয়াটার স্পোর্টস নয়, পাশাপাশি রির্সট, এমনকী জলাধারে ভাসমান রির্সট গড়েও চমক দিতে তৈরি হচ্ছে পরিকল্পনা। ইতিমধ্যেই মাস্টার প্ল্যান তৈরির জন্য বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি আলাপ আলোচনা চলছে স্থানীয় ব্যবসায়ী, শিল্পপতিদের সঙ্গেও। যাতে সব শ্রেণির মানুষের চাহিদা পূরণ করা যায়। 

    এই ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান নিয়ে গত সপ্তাহেই শিল্পাঞ্চলের বণিক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক করেছেন ডিভিসির আধিকারিকরা। সেখানে অংশ নিয়েছিল ফেডারেশন অব সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, আসানসোল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং হোটেল ওনার্স অ্যা঩সোসিয়েশন সহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্যরা। তাঁদের কাছে পুরো পরিকল্পনাটি তুলে ধরা হয়। কী কী ভাবে পর্যটনে বিকাশ সম্ভব তার পরামর্শও চাওয়া হয়। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, কী কী করলে তাঁরা বিনিয়োগে উৎসাহিত হবেন তাও জানতে চাওয়া হয়। ব্যবসায়ীদের দাবি, দীর্ঘকালীন লিজ পেলেই বিপুল অর্থের অর্থ বিনিয়োগ করা সম্ভব।  ফেডারেশন অব সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি শচীন রায় বলেন, আমরা বলেছি খুবই সাধু উদ্যোগ। বিভিন্ন পর্যটন স্থল ওয়াটার স্পোর্টসের মাধ্যমে আরেও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। মাইথনেও সেই সম্ভবনাও রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘকালীন লিজ পেলেই বেসরকারি সংস্থা বিনিয়োগ করবে। 

    প্রকাশ্যে এনিয়ে কোনও মন্তব্য না করতে চাইলেও ডিভিসি কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, পর্যটনের উপর মাস্টার প্ল্যান তৈরির কাজ জোরকদমে চলছে। তার অঙ্গ হিসেবেই বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। চার মাসের মধ্যেই পরিকল্পনা সম্পূর্ণ হবে।  আজ, পশ্চিম বর্ধমান তথা রা঩জ্যের অন্যতম সেরা পিকনিক স্পট মাইথন। শীতে পাহাড়ে ঘেরা বিশাল জলরাশির পাশে পিকনিক করতে দূর দুরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন। পর্যটকদের আগ্রহ সত্ত্বেও আজও মাইথন সেই ভাবে সেজে উঠেনি। ডিভিসি কর্তৃপক্ষ বা রা঩জ্য‌ সরকার, কোনও পক্ষই এনিয়ে খুব বেশি আগ্রহ প্রকাশ করেনি। যা নিয়ে ভ্রমণপিপাসুদের আক্ষেপ বহুদিনের। এলাকাটি পর্যটকদের মনোগ্রাহী করে সাজিয়ে তুললে যেমন স্থানীয় মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন হবে, তেমনি ডিভিসির ঘরেও বাড়তি টাকা ঢুকবে। এ কথা এতদিন মাথায় ঢোকেনি কেন্দ্রীয় সংস্থার কর্তাদের। তবে শেষপর্যন্ত সেই কাজ হতে চলেছে। জনপ্রিয়তা বাড়াতে ওয়াটার স্পোর্টসের উপরই সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে।  যদিও কয়েকটি প্রশ্নও উঁকি দিচ্ছে। প্রথমত মাইথন, পাঞ্চেতের মতো বাঁধ গড়ে তোলা হয়েছিল একদিকে বন্যার সময়ে জল ধরে রাখার জন্য, অন্যদিকে প্রবল গ্রীষ্মে সেচের জন্য জল দিতে। এখন এই ওয়ার্টার স্পোটর্সের জন্য গ্রীষ্মেও চাষের জন্য জল না নিয়ে বাঁধে জল ধরে রাখা হবে না তো? কারণ বিভিন্ন সময়ে রাজ্য সরকার অভিযোগ করেছে, চাষের জন্য পর্যাপ্ত জল দেয় না ডিভিসি।  
  • Link to this news (বর্তমান)