ধুলিয়ানে ফ্লাইওভার নির্মাণে উদ্যোগ, দখলদারদের সরতে নির্দেশ
বর্তমান | ২৫ জুলাই ২০২৫
সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর: সামশেরগঞ্জের ধুলিয়ানে ১২নম্বর জাতীয় সড়কে ফ্লাইওভার তৈরি হবে। ওই কাজের জন্য নির্দিষ্ট জমি থেকে দখলদারদের সরে যেতে নোটিস জারি করল জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। এজন্য ১০দিন সময় দেওয়া হয়েছে। ৪আগস্টের মধ্যে জমি ছেড়ে না দিলে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। দুই কিমির বেশি দৈর্ঘ্যের এই জমিতে প্রায় ৪০০’র বেশি দোকানপাট ও ঘরবাড়ি রয়েছে।
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সাইট ইঞ্জিনিয়ার বিকাশকুমার নাগ বলেন, দখলদারদের নোটিস করা হয়েছে। ১০দিনের মধ্যে নির্দিষ্ট জমি থেকে সরে না গেলে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।
ধুলিয়ানে ফ্লাইওভারের জন্য জমি চিহ্নিত করার কাজ আগেই হয়ে গিয়েছিল। ধুলিয়ান ডাক বাংলো মোড় থেকে জঙ্গিপুর প্রান্তে চকসাপুর পর্যন্ত এক কিমি ও ফরাক্কা প্রান্তে নূর মহম্মদ কলেজ পর্যন্ত এক কিমি এলাকা নিয়ে ওই ফ্লাইওভার গড়ে তোলা হবে। এই নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে গড়ে ওঠা দোকানপাট ও বাড়ির মালিকদের জমি খালি করতে বলা হয়েছে।
ধুলিয়ানে ডাক বাংলো মোড় লাগোয়া এলাকায় বহু দোকানপাট রয়েছে। এছাড়া, জাতীয় সড়কের উভয় পাশে বহু দোকান ও বাড়ি রয়েছে। তার মধ্যে বেশিরভাগই খাবারের দোকান। তবে বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। ৪আগস্টের মধ্যে তাদের জায়গা খালি করে দিতে হবে। নয়তো ৫আগস্ট জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ অভিযান চালাবে।
নিত্যদিন যানজটে ধুলিয়ানে সাধারণ মানুষকে নাকাল হতে হয়। নতুন ডাক বাংলা মোড়ে লেভেল ক্রসিং ঘন ঘন বন্ধ থাকে। তার উপর ঝাড়খণ্ডের পাকুড় থেকে বহু পণ্যবাহী গাড়ি আসায় যানজট দেখা দেয়। ফ্লাইওভারটি গড়ে উঠলে সাধারণ মানুষ যানজট থেকে মুক্তি পাবেন। জমি দখলমুক্ত করার পর সেটির নির্মাণকাজ শুরু হবে।
ধুলিয়ানের বাসিন্দা সরিফুল মোমিন বলেন, দিনে অন্তত ৩০বার রেলগেট পড়ে। রেলগেট কয়েক মিনিট বন্ধ থাকলেই দু’দিকে বহু যানবাহন আটকে পড়ে। এতে যানজট দেখা দেয়। ফ্লাইওভার হলে সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই জঙ্গিপুরের উমরপুরে ফ্লাইওভারের জন্য নির্দিষ্ট জমি থেকে দখলদারদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ধুলিয়ানে জবরদখল সরিয়ে দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হলে পুজোর আগেই দু’টি ফ্লাইওভারের কাজ শুরু হবে।
নতুন ডাক বাংলা মোড়ের একটি ফলের দোকানের মালিক রুবেল ইসলাম বলেন, এখানে দীর্ঘ ৩০বছর ধরে আমি ব্যবসা করি। এই ব্যবসার টাকাতেই আমার সংসার চলে। এতদিন পর এখান থেকে কোথায় যাব, সেখানে ব্যবসা চলবে কিনা-এসব নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছি। আমার মতো আরও অনেক ব্যবসায়ী এমন দুশ্চিন্তা করছেন। • নিজস্ব চিত্র