সংবাদদাতা, লালবাগ: পদ্মার ভাঙনে নদীগর্ভে চলে গেল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের প্রায় ৩০ ফুট কাঁটাতারের বেড়া। বৃহস্পতিবার লালগোলা থানার রেনু ক্যাম্পে আন্তর্জাতিক সীমান্তেরওই কাঁটাতারের বেড়া সংলগ্ন রাস্তারও বেশ কিছু অংশ নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। ইতিমধ্যে জেলা সেচদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার, লালগোলার বিডিও, পঞ্চায়েত প্রধান, রেনুক্যাম্পের কমান্ডান্ট ভাঙন কবলিত সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেকাজ শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। লালগোলার বিধায়ক মহম্মদ আলি বলেন, নদী ভাঙন জাতীয় সমস্যা। কিন্তু এই সমস্যা সমাধানে কেন্দ্রের মাথাব্যাথা নেই। তারানগর ও রাধাকৃষ্ণপুরের মধ্যবর্তী ৫০০ মিটার ভাঙন রোধের কাজের জন্য সেচদপ্তর ৭ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে। রেনু ক্যাম্প এলাকায় ভাঙন রোধে খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। লালবাগের মহকুমা শাসক বনমালী রায় বলেন, লালগোলায় আন্তর্জাতিক সীমান্তের বেশকিছু এলাকার কাঁটাতার পদ্মার গর্ভে চলে গিয়েছে। দ্রুত ভাঙন রোধে কাজ শুরু হবে। জেলা সেচ দপ্তরের আধিকারিক সঞ্জয় সিং বলেন, ওই এলাকায় ভাঙন রোধের জন্য ৩০০ মিটার নদীর পাড় বালির বস্তা দিয়ে বাঁধানোর কাজ শুরু হবে। মোট বরাদ্দ হয়েছে ৫৬ লক্ষ টাকা। বর্ষা নামতেই লালগোলায় পদ্মারভাঙনে তারানগর ও রাধাকৃষ্ণপুর গ্রামের বেশ কয়েক বিঘা চাষের জমি নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ভিটেমাটি হারানোর আশঙ্কায় রয়েছেন ওই দুই গ্রামের বাসিন্দারা।জানা গিয়েছে, সীমান্তবর্তী রেনুক্যাম্প এলাকার কাঁটাতার থেকে পদ্মা অনেকটাই দূরে ছিল। গত কয়েক বছর ধরে ভাঙনে পদ্মার কাছাকাছি চলে আসে এই কাঁটাতারের বেড়া। যার জেরে এবছর বর্ষার শুরুতেই ভাঙনে পদ্মার গর্ভে চলে গেল সীমান্তের এই কাঁটাতারের বেড়া।