• আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য কোলে মার্কেট ও লেবুতলা পার্কে গঙ্গার জলের নতুন ‘সোর্স’
    বর্তমান | ২৫ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: উত্তর কলকাতার কোলে মার্কেট অঞ্চল ঘন জনবসতিপূর্ণ। প্রতিনিয়ত সেখানে সব্জি, ফল নিয়ে বহু গাড়ি ঢোকে। পাশাপাশি, লেবুতলা পার্কের আশপাশও ঘিঞ্জি এলাকা। এইসব অঞ্চলে অগ্নিকাণ্ড ঘটলে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। সেকথা মাথায় রেখে আপৎকালীন সমস্যা সামলাতে এই দুই জায়গায় গঙ্গা জলের নতুন সূত্র বা ‘সোর্স’ (স্প্রাউট) বানানো হয়েছে। 

    প্রতিবছর লেবুতলা পার্কের দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে বিপুল জনসমাগম ঘটে। তাছাড়া লেবুতলা পার্কের আশপাশে বহু অলিগলি রয়েছে। এমন এলাকায় আগুন লাগলে দমকলের কাজ করতে সমস্যা হবে। তার মূল কারণ আশপাশে জলের ‘সোর্স’ সেভাবে নেই। একই রকম পরিস্থিতি কোলে মার্কেটেও। সেই চত্বরেও অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থার পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই। ফলে দমকলের কাজের সুবিধার্থে এই দুই এলাকায় বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলার সজল ঘোষ। কলকাতা পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগের সহযোগিতায় তিনি কোলে মার্কেটের তিন নম্বর গেটের কাছে একটি গঙ্গার জলের নল বা ‘সোর্স’ বসিয়েছেন। এর পোশাকি নাম ‘স্প্রাউট’।

    এই ‘স্প্রাউট’ এমন একটি পাইপলাইন, রাস্তার উপর যার একটি মুখ বন্ধ করা থাকে। অগ্নিকাণ্ডের সময় জল লাগলে বা অন্য কোনও প্রয়োজনে সেই নলের মুখ খুললে অনবরত গঙ্গার জল মিলবে। সেই নলের ঢাকনা খুলে পাইপ লাগিয়ে সেই জল দমকলকর্মীরা আগুন নেভানোর কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।এই প্রসঙ্গে সজল ঘোষ বলেন, দুর্ঘটনা তো আর বলে আসে না! তাই আপৎকালীন পরিস্থিতিতে দমকল কর্মীদের আগুন নেভানোর কাজে যাতে সুবিধা হয়, তাই গঙ্গার জলের এই স্প্রাউটগুলি বসানো হয়েছে। প্রয়োজনে এর সাহায্যে রাস্তা ধোয়া বা পার্কেও জল দেওয়া যাবে। 

    শহরের রাস্তা, বিশেষত ঘন জনবসতিপূর্ণ অঞ্চল বা বিভিন্ন বাজার অঞ্চলে রাস্তার ধারে বা ফুটপাতে পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগ এমন বহু গঙ্গার জলের স্প্রাউট বসিয়েছে। সেগুলি যুগ যুগ ধরে চলছে। সম্প্রতি, পুরসভার বিভিন্ন বাজারে ফায়ার অডিট শুরু হয়েছে। পুরসভার বিভিন্ন বাজারের ভিতরেও এমন স্প্রাউটগুলি ঠিকমতো কাজ করছে কি না, সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোথাও গঙ্গার জল, কোথাও মাটির তলার জল, কোথাও আবার পরিস্রুত জলের জলাধার তৈরি করে এই স্প্রাউটগুলিতে জল সরবরাহ নিশ্চিত করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, দমকলের অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থার পরিকাঠামো নিয়ে রিপোর্ট পেলে, শহরের বিভিন্ন জায়গায় প্রয়োজনমতো আরও এমন ‘স্প্রাউট’ বসানো যেতে পারে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)