• একইদিনে প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য মহিষাদলে
    এই সময় | ২৫ জুলাই ২০২৫
  • একই দিনে আলাদা দু'টি বাড়ি থেকে এক তরুণ ও তাঁর বান্ধবীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে। বুধবার সকালে বিশ্বজিৎ দাসের দেহ (২১) উদ্ধার হয় তাঁর বাড়ি থেকে। ওই দিন বিকেলে বিশ্বজিতের বান্ধবী গায়ত্রী বর্মনের (১৮) মৃতদেহ উদ্ধার হয় তাঁর নিজের বাড়ি থেকে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত যুবক বিশ্বজিৎ দাস মহিষাদল থানার বামনপুর গ্রামের বাসিন্দা। মৃত কিশোরীর বাড়ি নন্দকুমার থানার চুনাখালিতে। গায়ত্রী স্থানীয় স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে পড়ত।

    সূত্রের খবর, পুলিশ বুধবার বিকালে দুজনের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে মৃতদের পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেয় পুলিশ। তখনই সামনে আসে এই ঘটনা।

    সূত্রের খবর, বিশ্বজিতের সঙ্গে বছর তিনেক আগে সামাজিক মাধ্যমে পরিচয় হয় গায়ত্রীর। সম্পর্কের কথা জানাজানি হলে দু'জনের পরিবারই সম্পর্ক মেনে নেয় বলে খবর। বর্তমানে বিশ্বজিৎ ভিন রাজ্যে ফুলের কারিগর হিসেবে কাজ করতেন। এই বছরেই দু'জনের বিয়ে ঠিক হয়েছিল।

    পুলিশ জানায়, বুধবার বেলার দিকে দু'জনে দেখা করে। এরপরেই বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ বাড়িতে ফিরে গলায় ফাঁস দিয়ে বিশ্বজিৎ আত্মঘাতী হয়। আর ওই ঘটনা জানার পর ওই দিনই বিকেল ৩টে নাগাদ নিজের বাড়িতে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় গায়ত্রীও। কিন্তু ঠিক কী কারণে যুগল আত্মহত্যা করলেন তা স্পষ্ট নয়।

    ছেলের বাড়ির লোকজনের সন্দেহ, মেয়ের পরিবারের লোকজন আগে বিয়েতে রাজি থাকলেও এখন তাঁরা হয়তো এই সম্পর্ক মানতে রাজি হচ্ছিলেন না। সেই কারণে মেয়েটি হয়তো সম্পর্ক ভেঙে দিতে চাইছিল। মানসিক আঘাত পেয়েই আত্মঘাতী হন বিশ্বজিৎ। মেয়ের পরিবারের লোকজনের দাবি, তাঁরা মেয়ের ইচ্ছে মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু কেন এমন ঘটল তা তাঁদের জানা নেই।

  • Link to this news (এই সময়)