এই সময়: আইন না–মানা বা নাগরিকের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠলে সংশ্লিষ্ট ট্র্যাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে বলে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায় ট্র্যাফিক সংক্রান্ত একটি মামলায় রায়ে বলেছেন, গাড়ির লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করা বা অন্য কোনও ক্ষেত্রে কর্তব্যরত পুলিশ আইনের ঊর্ধ্বে গেলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করতে হবে।
হাইকোর্টের পরামর্শ, লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত বা অন্যান্য ট্র্যাফিক বিধি কার্যকরের জন্য কলকাতা ও রাজ্য পুলিশে জোরালো প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত। হাইকোর্টের আইনজীবী শুভ্রাংশু পন্ডার দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে আদালত এই রায় দিলেও নির্দিষ্ট মামলায় যে পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপের সুপারিশ করা হয়নি। কারণ সেই বিতর্ক মিটে গিয়েছে এবং আইনজীবীর লাইসেন্সও ফেরত দেওয়া হয়েছে।
গত বছর মার্চে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাড়ি থেকে গাড়ি নিয়ে কলকাতায় আসার সময়ে এজেসি বোস রোড ও খিদিরপুর রোডের সংযোগস্থলে শুভ্রাংশুর গাড়ি আটকান ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্মী।
শুভ্রাংশুর অভিযোগ, তাঁর তাঁর লাইসেন্স কেড়ে নেওয়া, করা হয় দুর্ব্যবহার। সে সময়েই মামলা হয়। এ দিন তার রায় দিতে গিয়ে হাইকোর্টের বক্তব্য, ভবিষ্যতের কথা ভেবে গোটা রাজ্যে ট্র্যাফিক পুলিশের প্রশিক্ষণ চায় হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে নাগরিকের সঙ্গে ভদ্র আচরণ করা এবং ট্র্যাফিক পুলিশের দায়িত্বশীল ও পেশাদার হয়ে ওঠার উপরেও জোর দিয়েছে আদালত। রায়ের কপি রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি ও কলকাতা পুলিশের ডিসি ট্র্যাফিককে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ট্র্যাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে চালকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার, গালিগালাজ করা বা অন্যায় ভাবে লাইসেন্স কেড়ে নেওয়ার মতো নানা অভিযোগে গত বছর হাইকোর্টে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের হয়।
মামলাকারীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আইনজীবীও ছিলেন। কয়েকটি মামলার নিষ্পত্তি হয়ে গেলেও আইনজীবী পন্ডার মামলাটিতে আগামী দিনের জন্য ট্রাফিক পুলিশকে নিয়ন্ত্রণের দাবি করা হয়।