প্রয়াত কবি রাহুল পুরকায়স্থ। মৃত্যুকালে কবির বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। দীর্ঘ দিন ধরেই দুরারোগ্য রোগের সঙ্গে লড়াই করছিলেন তিনি। ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। সপ্তাহ দু'য়েক আগে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ভেন্টিলেশনে রাখা হয় তাঁকে। সূত্রের খবর, মাঝে বেশ কিছু দিন চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেন কবি। হাত নাড়ছিলেন, চোখ মেলে তাকিয়েছিলেন। এমনকী ডাকলে সাড়াও দিচ্ছিলেন। ভেন্টিলেশন থেকে বার করার প্রক্রিয়াও নাকি শুরু হয়েছিল।
জানা যায়, হঠাৎই দু'দিন আগে ফের অবস্থার অবনতি ঘটে তাঁর। হার্ট অ্যাটাকও হয়। তাই কবিকে ভেন্টিলেশন থেকে বার করার সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা হয়। শুক্রবার ভেন্টিলেশন থেকে সেই বেরোলেন তিনি, কিন্তু নিথর হয়ে। প্রায় তিন দশক ধরে কবিতা লিখছেন কবি রাহুল পুরকায়স্থ। পেশায় ছিলেন গণমাধ্যমের কর্মী। সত্তরের দশকের পরিসরে বড় হয়ে ওঠা তাঁর। শৈশব থেকেই বেলঘরিয়ার বাসিন্দা।
আশির দশক থেকে নিয়মিত কবিতা লিখতে শুরু করেন। তাঁর কবিতার বইয়ের সংখ্যাও কুড়ি ছাড়িয়েছে। তাঁর প্রথম বই 'অন্ধকার, প্রিয় ,স্বরলিপি'। এ ছাড়াও 'নেশা এক প্রিয় ফল’, ‘আমার সামাজিক ভূমিকা’, ‘ও তরঙ্গ লাফাও’, ‘সামান্য এলিজি’র মতো উল্লেখযোগ্য কিছু কাব্যগ্রন্থের স্রষ্টা তিনি। তাঁর বেশ কিছু কবিতা ইংরাজী এবং হিন্দিতেও অনুবাদ হয়েছে। তাঁর লেখা কবিতায় উঠে এসেছে কলোনি জীবনের কথা, প্রেমের প্রকৃতি, সাতের দশকের জীবনচর্যা, সমসাময়িক রাজনৈতিক এবং সামাজিক প্রেক্ষাপট। সম্পাদনা করেছেন ভূমেন্দ্র গুহর কবিতা সংগ্রহ। প্রবল আগ্রহ ছিল দেশ-বিদেশের সাহিত্য ও চিত্রকলায়।