কাঁকুড়গাছিতে বিজেপি নেতা অভিজিৎ সরকার খুনের মামলায় গত ২ জুলাই দ্বিতীয় অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সেখানে অভিযুক্তের তালিকায় নাম রয়েছে বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল। শুক্রবার পরেশ পালের আগাম জামিন মামলার শুনানিতে সিবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়েই এ বার প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাই কোর্ট। তদন্তকারীরা ‘সঠিকভাবে তদন্ত করছেন না’ বলেও মন্তব্য বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের।
বিজেপি নেতাকে খুনের মামলায় পুলিশ প্রথমে ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয়। পরে আদালতের নির্দেশেই তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম অতিরিক্ত চার্জশিট জমা করে সিবিআই। তাতে মোট ২০ জন অভিযুক্তের নাম ছিল। গত ২ জুলাই দ্বিতীয় অতিরিক্ত চার্জশিটে অভিযুক্তের তালিকায় নাম দেওয়া হয় বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল, কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (বস্তি) স্বপন সমাদ্দার এবং ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পাপিয়া ঘোষের।
বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, ‘ঘটনার দিন কি পরেশ পালের টাওয়ার লোকেশন পেয়েছেন? এমন কোনও রেকর্ড আছে যার থেকে এটা প্রমাণ হচ্ছে। তদন্তকারী অফিসার সঠিকভাবে তদন্ত করছে না। যদি তাঁর বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রমাণ থাকে, তা হলেই আদালত ভাববে, না হলে আদালত জামিন মঞ্জুর করবে।’
আদালতের প্রশ্নের উত্তরে সিবিআইয়ের আইনজীবী এ দিন দাবি করেন, বিজেপি নেতাকে খুনের দশ দিন আগে একটি সভায় পরেশ হুমকি দিয়েছিলেন ‘দেখে নেব’। পাল্টা সিবিআইয়ের কাছে আদালত জানতে চায়, সেই ভিডিয়ো বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ কেস ডাইরিতে আছে কি না। এছাড়া আরও কোনও তথ্য প্রমাণ থাকলে সেটা আগামী শুনানির দিন আদালতে জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার মামলার পরবর্তী শুনানি।
২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগ ছিল। সেই সময়েই ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে কলকাতার কাঁকুড়গাছিতে মৃত্যু হয় বিজেপি নেতা অভিজিৎ সরকারের। তাঁকে গলায় তার পেঁচিয়ে এবং পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ তুলেছিলেন পরিবারের সদস্যরা।