মর্মান্তিক! দুই জেলায় বাজ পড়ে একদিনেই ১৩ জনের মৃত্যু, কীভাবে বিপদ এড়াবেন?
আজ তক | ২৫ জুলাই ২০২৫
West Bengal Lightning Deaths: বাঁকুড়া ও পূর্ব বর্ধমান জেলায় বাজ পড়ে প্রাণ হারালেন ১৩ জন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কৃষিক্ষেতে কাজ করার সময় বাজ পড়ে মৃত্যু হয় তাঁদের। আহত চারজন। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি জানিয়েছেন, জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বজ্রাঘাতে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ওন্দায় ৪ জন, কোটুলপুর, জয়পুর, পাত্রসায়ের ও ইন্দাস থানা এলাকায় ১ জন করে মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। প্রশাসন ও সংবাদমাধ্যমের তরফে বজ্রপাত নিয়ে প্রচার সত্ত্বেও সচেতনতার অভাব আছে বলে মনে করছেন সরকারি আধিকারিকরা। বর্তমানে ধানের চারা তোলা, রোপণের কাজ চলছে পুরোদমে। পাট ধোয়ারও আদর্শ সময় এটি। আর সেই কারণেই কালো মেঘ উপেক্ষা করেই কাজ করছেন কৃষকরা। আর তার ফলে বজ্রাঘাতের সম্ভাবনা বাড়ছে।
আবহাওয়া দফতরের মতে, দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় গত কয়েক দিন ধরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হচ্ছে। তার জেরেই এই দুর্ঘটনা। প্রশাসন সতর্কতা জারি করলেও বহু মানুষ ঝুঁকি নিয়ে মাঠে কাজ করছেন।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, মৃতদের পরিবারকে সরকারি সহায়তা প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে প্রচারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বৃষ্টি ও বাজ পড়ার সময় খোলা জায়গায় না যাওয়াই শ্রেয়, মত বিশেষজ্ঞদের।বজ্রপাত থেকে বাঁচবেন কীভাবে?
১. আকাশে মেঘ জড়ো হলে ফাঁকা রাস্তা, মাঠ, পুকুর-নদীর পাড়, খোলা ছাদ এড়িয়ে চলুন।
২. ঝড়-বৃষ্টির সময় বের না হওয়াই শ্রেয়।
৩. এই সময় বাইরে থাকলে কোনও দোকান, বাড়িতে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করুন।
৪. গাছের নিচে আশ্রয় না নেওয়াই ভাল।
ওন্দায় মৃত ৪
নারায়ণ সাঁর (৪৮), জবা বাউরি (৩৮), তিলোকা মাল (৪৯)। তিনজনই মাঠে পাট ধোওয়ার কাজ করছিলেন। চতুর্থ জনের নাম এখনও জানা যায়নি। এছাড়াও, প্রয়াতদের তালিকায় রয়েছেন, কোতুলপুরের জিয়াউল হক মোল্লা (৫০), পাত্রসায়েরের জীবন ঘোষ (২০), ইন্দাসের ইসমাইল মণ্ডল (৬০), জয়পুরের উত্তম ভূঁইয়া (৩৮)।
পূর্ব বর্ধমানে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে আরও ৫ জনের। আহত ৪জন স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মাধবডিহিতে সনাতন পাত্র (৬০) ও পরিমল দাস (৩২), আউসগ্রামে রবিন টুডু (২৫) রায়নাতে অভিজিৎ সাঁতরা (২৫), মঙ্গলকোটে বুড়ো মাড্ডি (৬৪) বজ্রাঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন।