করোনার মত মহামারী দেখা দিলে পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থানুকূল্যে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে চারতলা বিশিষ্ট একটি বিশেষ ভবন তৈরি হয়। এই ভবনের প্রথম তলায় হাসপাতালের সুপার, অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারদের অফিস এবং হাসপাতালের অফিস করা হয়েছে। তার উপরের তিনটি তলায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ‘মাতৃমা’ ধাঁচে গর্ভবতী মা, শিশু এবং প্রসূতিদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে যাওয়া এই ভবনের উপরের তিনটি তলায় মা ও শিশুদের এই বিশেষ ইউনিট তৈরি করার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের পূর্ত বিভাগের সিভিল সেকশনকে দেওয়া হয়েছে। এই বিশেষ ইউনিটে অপারেশন থিয়েটার, লেবার রুম করা থাকছে। সিজারের জন্য নিয়ে আসা গর্ভবতী মায়েদের অপারেশনের আগে অপেক্ষার জন্য দশটি বিশেষ শয্যার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়া মায়েদের জন্য আশিটি শয্যা এবং নবজাতকদের জন্য এসএনএসইউ সহ ত্রিশটি শয্যার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
মহকুমা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার ডা. গৌতম মাইতি বলেন, ‘এটা মাতৃমার মত অত বড় নয়, তবে মা ও শিশুদের চিকিৎসার চাহিদা এক ছাদের তলায় মেটানো হবে। আগামী সোমবার এই ভবন পরিদর্শন করতে আসবেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. সৌম্যশংকর ষড়ঙ্গী। পূর্ত (সিভিল) বিভাগের পক্ষ থেকে তিনটি তলার নকশা জমা দেওয়া হবে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সবুজ সংকেত দিলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে এবং দ্রুত শেষ করা হবে।’
রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হেমা চৌবে বলেন, ‘এক ছাদের তলায় মা ও শিশুদের রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এটা অত্যন্ত ভালো প্রস্তাব, আশা করছি দ্রুত কাজ শুরু হবে এবং অচিরেই সাধারণ মানুষ পরিষেবা পাবেন।’