যোগ্যশ্রী প্রকল্পের সাহায্যে বিদেশে পড়ার সুযোগ পেলেন নদিয়ার মেধাবী ছাত্র বিপ্লব সিংহ। তাঁকে সংবর্ধিত করলেন কল্যাণীর মহকুমা শাসক অভিজিৎ সামন্ত।
নদিয়ার ধানতলার হরচন্দ্রপুরের বাসিন্দা বিপ্লব সিংহ। বাবা বিজন সিংহ অন্যের জমিতে চাষের কাজ করেন। টালির ছাদ, মাটির বাড়ি। স্ত্রী সুশীলা, বিধান ও বিপ্লবকে নিয়ে সংসার বিজনবাবুর। মাধ্যমিকে ৯৩ শতাংশ ও উচ্চমাধ্যমিকে ৯১ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন বিপ্লব। মুম্বই আইআইটিতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার স্বপ্ন ছোট থেকেই। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় আর্থিক অনটন। অবশেষে রাজ্য সরকারের যোগ্যশ্রী প্রকল্পের কোচিং-য়ের একটি কেন্দ্রে ভর্তি হয় বিপ্লব। সেখান থেকে পড়াশুনা করেই সুযোগ পায় মুম্বই আইআইটিতে। সুদূর ক্যালিফোর্নিয়ায় যাওয়ার সুযোগ এলেও পাশে দাঁড়ায় যোগ্যশ্রী প্রকল্প। বিপ্লবের এই জার্নি ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে তুলে ধরতে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন কল্যাণী মহকুমা শাসক অভিজিৎ সামন্ত।
বিপ্লব বলে, ‘রাজ্য সরকার ও জেলা প্রশাসন পাশে না থাকলে আমার বিদেশ যাওয়া হত না। আমি খুবই দরিদ্র পরিবারের ছেলে। যোগ্যশ্রী প্রকল্পের বিষয়টি আমি এক শিক্ষকের কাছ থেকে জানতে পারি। যোগ্যশ্রী প্রকল্পের কোচিং সেন্টারের কল্যাণী একটি কেন্দ্রে ভর্তি হয়। এখানকার শিক্ষকদের কাছ থেকে অনেক সাহায্য পেয়েছি।’ সে আরও বলে, ‘আমি এখন আইআইটি মুম্বাইয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। আর্থিক প্রতিবন্ধকতা এখানকার দিনের সমস্যা নয় যদি লক্ষ্য স্থির থাকে। আমার বিদেশে যাওয়াটাও সম্ভব হয়েছে যোগ্যশ্রী প্রকল্পের সাহায্যে।’
কল্যাণী মহকুমা শাসক অভিজিৎ সামন্ত বলেন, ‘এই যোগ্যশ্রী প্রকল্পে নেট ও জেইই কোচিং দেওয়া হয়। দুঃস্থ পড়ুয়াদের সাহায্যের জন্য এই যোগ্যশ্রী প্রকল্প। বিপ্লব এই যোগ্যশ্রী প্রকল্পের আওতায় একটি কোচিং থেকেই পড়াশুনা করেছে। ছুটিতে বিপ্লব বাড়ি এসেছে এবং ওকে আমরা সংবর্ধিত করেছি। বিপ্লবের কথা ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। বিপ্লব সকলের অনুপ্রেরণা।’
যোগ্যশ্রী প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর অমিত কুমার কর বলেন, ‘সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দুঃস্থ ছাত্র-ছাত্রীরা যোগ্যশ্রী প্রকল্পের আওতায় যে সকল কোচিং সেন্টার রয়েছে সেখানে পড়াশুনা করতে পারে। বিপ্লবও আমাদের ছাত্র ছিল। ও খুবই মেধাবী ছাত্র। যোগ্যশ্রী প্রকল্পের সাহায্যে বিপ্লব বিদেশে পড়ার সুযোগ পেয়েছে।’