• চিড়িয়াখানা শুমারের প্রথম দিনে সন্তোষ প্রকাশ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের, বাকি পাখির হিসাব
    প্রতিদিন | ২৫ জুলাই ২০২৫
  • নিরুফা খাতুন: আলিপুর চিড়িয়াখানার পশুপাখির হিসাব নিয়ে গরমিলের অভিযোগ উঠেছে। সত্যি কি হিসাবে গরমিল রয়েছে? নাকি দপ্তরের তথ্য আদানপ্রদানের ক্ষেত্রে কোনও গড়িমসি ছিল। তা খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার আলিপুর চিড়িয়াখানার এসেছেন সেন্ট্রাল জু অথরিটির প্রতিনিধিরা। খাঁচা ঘুরে ঘুরে আবাসিকদের শুমার করছেন কেন্দ্রীয় দল। প্রথমদিন স্তন্যপায়ী ও সরীসৃপদের শুমার করা হয়। বিশেষ সূত্রের খবর, শুমারে স্তন্যপায়ী ও সরীসৃপদের সংখ্যা নিয়ে সন্তোষপ্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। স্তন্যপায়ী ও সরীসৃপদের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও পাখি গণনার কাজ বাকি রয়েছে।

    চিড়িয়াখানার আবাসিকদের হিসাবের বিস্তর গরমিলের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা রুজু করেছে সেভ ওয়াইল্ড অ্যানিম্যাল অফ আলিপুর জু অ্যান্ড আওয়ার নচোর স্বজন) নামে এক সংগঠন। এদিন হাইকোর্টের ওই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছিল। যদিও আদালতে এদিন মামলার শুনানি হয়নি। এদিন সকালে কেন্দ্রীয় একটি দল চিড়িয়াখানায় আসে। ওই দলে ছিলেন কেন্দ্রীয় জু অথরিটির, ওয়াইল্ড লাইফ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া ও ইন্ডিয়ান ভেটেরিনারি রিসার্চ ইনস্টিটিউট-এর একজন করে প্রতিনিধি। হাজির ছিলেন চিড়িয়াখানার অধিকর্তা অরুণ মুখোপাধ্যায়।

    জানা গিয়েছে, স্তন্যপায়ী ও সরীসৃপদের প্রতিটি খাঁচা ঘুরে দেখেন। সকলের মাথা ধরে ধরে গণনা করা হয়। পশু হাসপাতালে নিয়মিত কোনও না কোনও আবাসিকের চিকিৎসা চলে। সেখানেও এদিন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা যান। সেখানে কতজন রয়েছে তা-ও গুনে গুনে খাতায় কলমে নোট করেন।এদিন শুমারে আলিপুর চিড়িয়াখানার প্রাক্তন অধিকর্তা আশিস সামন্তকেও ডাকা হয়েছিল। ২০১৬ ও ২০১৭ অর্থবর্ষে হিসাবে বড় গরমিল রয়েছে বলে মামলাকারীদের অভিযোগ। অভিযোগ, ওই অর্থবর্ষে ৩১ মার্চ আলিপুর চিড়িয়াখানায় ক্লোজিং স্টকে ১১৮৬টি প্রাণী ছিল। অথচ ২০১৭ সালে ১ এপ্রিলের ‘ওপেনিং স্টক’ দেখাচ্ছে চিড়িয়াখানার পশুপাখিদের সংখ্যা মাত্র ৯২৯। অর্থাৎ ২৪ ঘন্টার মধ্যে রাতারাতি উধাও ২৫৭টি প্রাণী। তৎকালীন অধিকর্তা ছিলেন আশিসবাবু। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের হিসাব বুঝিয়ে দিতে এদিন প্রাক্তন অধিকর্তাকেও ডাকা হয় বলে খবর। করোনার পর থেকে আলিপুর চিড়িয়াখানার পশুপাখিদের সংখ্যা পোর্টালের মাধ্যমে আপডেট করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, বর্তমান পশুপাখির নথিপত্র-সহ পুরনো বছরের তথ্যগুলিও চেয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল।
  • Link to this news (প্রতিদিন)