• ‘মার খেয়ে বাড়ি আসবেন না, মারলে...মারুন’, কর্মীদের বার্তা মিঠুনের, সমালোচনা বিরোধীদের
    এই সময় | ২৫ জুলাই ২০২৫
  • জোড়াসাঁকো ও শ্যামপুকুরের পরে এ বার আরামবাগ। সাংগঠনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। সেখানেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে কর্মীদের পাল্টা মারের নিদান মিঠুনের। দলীয় কর্মীদের জন্য মিঠুনের বার্তা, ‘মার খেয়ে বাড়ি আসবেন না, মারলে মারুন।’ মিঠুনের মন্তব্যের সমালোচনা করা হয়েছে বিরোধীদের তরফে।

    শুক্রবার আরামবাগের দৌলতপুরে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে দুটি বিধানসভা নিয়ে দলের কর্মী সম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। বিধানসভা নির্বাচনে বুথের কর্মীদের মাটি কামড়ে পড়ে থাকার বার্তা দেন তিনি। এমনকী কোনও অভিযোগ থাকলে ক্লোজ ডোর কর্মী সম্মেলনে কর্মীদের কাছে নিজের হোয়াটস অ্যাপ নম্বর বিলিয়েছেন মিঠুন। দলের নেতা থেকে বিধায়কদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে সরাসরি তাঁকে জানানোর কথা বলেন।

    বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, ‘কিছুদিন আগে তৃণমূলের হয়ে বলতেন। এখন বিজেপির হয়ে বলছে। কখন কার হয়ে এসব কথা বলেন, সেটা বলা মুশকিল। উনি অভিনয় জগতের লোক তো।’ একটি সংবাদমাধ্যমে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ওঁকে অভিনেতা হিসেবে সম্মান করি। তবে রাজনৈতিক হিসেবে উনি জোকার।’

    ইতিমধ্যেই রাজ্য জুড়ে বাংলাভাষীদের হেনস্থার ঘটনাকে হাতিয়ার করে ময়দানে নেমে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই বিষয়ে মিঠুনের বক্তব্য, ‘ভোটার তালিকা সংশোধন হবেই। রাজ্যকে সেটা মেনে নিতে হবে। বাংলার কাউকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হলে আমরাও প্রতিবাদ করব। তবে, বাংলাদেশিদের এখন থেকে বের করা হবে।’

    ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের কয়েকমাস আগেই রাজনীতির ময়দানে নেমে পড়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। বিজেপি সূত্রে খবর, কলকাতার চার কেন্দ্র শ্যমপুকুর, জোড়াসাঁকো, ভবানীপুর ও রাসবিহারী কেন্দ্রে প্রচারের জন্য বিশেষভাবে কাজে লাগানো হবে এই অভিনেতাকে। বৃহস্পতিবারই এই চার কেন্দ্রের বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

  • Link to this news (এই সময়)