নন্দন দত্ত, সিউড়ি: ভারতীয় সেনা জওয়ানের বাংলাদেশি বউ! যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে বীরভূমের নলহাটির কয়থা গ্রামে। সেনা জওয়ান জিয়ারুল শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভুয়ো তথ্য দিয়ে অবৈধভাবে দ্বিতীয় স্ত্রীর ভোটার, আধার, প্যান কার্ড বানিয়েছেন তিনি। ঘটনা সামনে আসতেই তদন্ত শুরু করেছে রামপুরহাট মহকুমা প্রশাসন।
শুক্রবার যাবতীয় নথি-সহ মহকুমা শাসকের দপ্তরে হাজিরা দিতে বলা হয় জিয়ারুল শেখকে। বিতর্কের অবসানের জন্য নলহাটি বিধানসভার নির্বাচন আধিকারিক, বিএলওকেও হাজির থাকতে বলা হয়। শুক্রবার ওই সেনাকর্মী জিয়ারুল শেখ রামপুরহাট আদালতের একজন আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে মহকুমা শাসকের দপ্তরে হাজিরা দেন। তবে জিয়ারুলের স্ত্রী হাবিবা খাতুন এদিন হাজিরা দেননি।
সেনাকর্মীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, তিনি জিয়ারুলের কাকাকে সামশের শেখকে নিজের বাবা বলে পরিচয় দিয়ে আধার, ভোটার কার্ড করেরিয়েছিলেন। এদিকে এদিন হাবিবার আরও একটি নকল আধার কার্ডের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেখানে বাবার পরিচয় দেওয়া হয়েছে জোহর শেখ নামে একজনকে। এদিনের তদন্তে হাজির ছিলেন জিয়ারুলের প্রথম স্ত্রী রোশনিওয়ারা খারুন। তিনি বলেন, ‘তাঁর স্বামী সেনা জওয়ান। ২০২৩ সালে একজন বাংলাদেশ়ি মেয়েকে জেনে বুঝেই বিয়ে করেছেন। তারপরেই তিনি মামলা করেন।’
এদিকে ওই সেনাকর্মীর আইনজীবী মাহাবুব আলম জানান, বাংলাদেশি পরিচয় না জেনেই তাঁর মক্কেল হাবিবাকে বিয়ে করেছিলেন। অপরদিকে রামপুরহাট প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত কীভাবে জাল নথি দিয়ে ভারতীয় আইডি বানিয়েছে। সেই সঙ্গে এই জাল চক্রের সঙ্গে কারা জড়িত সেই তদন্তও শুরু করেছে মহকুমা প্রশাসন।