• ছেলের গৃহশিক্ষকের সঙ্গে উধাও স্ত্রী! খুঁজে পেতে পুলিশের দুয়ারে ঘুরছেন বাঁকুড়ার যুবক
    প্রতিদিন | ২৬ জুলাই ২০২৫
  • সঞ্জিত ঘোষ, কৃষ্ণনগর: প্রায় একদশক আগে বাড়ির অমতে বিয়ে করেছিলেন। সুখী জীবনের স্বপ্নও দেখেছিলেন। তবে সেই সুখে বাধ সাধল বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক! ছেলের গৃহশিক্ষকের সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে পালালেন গৃহবধূ। দুই সন্তানের মাকে খুঁজে পেতে প্রায় প্রতিটি জেলার পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হচ্ছেন যুবক। পুলিশবাবুদের কাছে তাঁর একটাই আর্জি ‘বউকে খুঁজে দিন’। বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগরে পুলিশ সুপারের অফিসে এই আবেদন নিয়ে হাজির হয়েছিলেন বাঁকুড়ার গোপালচন্দ্র দাস। তবে শুধু কৃষ্ণনগর নয়, স্ত্রীর খোঁজ পেতে ইতিমধ্যেই একাধিক জোলার পুলিশ সুপারের অফিসে গিয়েছেন ওই যুবক। পুলিশরকর্মীরা তাঁকে একাধিকবার বোঝানোর চেষ্টা করলেও নাছোড়বান্দা যুবক। তাঁর যুক্তি ‘বাড়ি ফিরলে, বউ নিয়েই ফিরবো’।

    গোপালের বাড়ি বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী থানার ডিহিপাড়া এলাকায়। এক বছর হল তাঁর স্ত্রী দুই সন্তানকে নিয়ে উধাও হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, তিনি নাকি ছেলের গৃহশিক্ষকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছেন। এখনও তাঁর হদিশ নেই। স্ত্রীকে খুঁজে পেতে বিভিন্ন জেলায় জেলায় ঘুরছেন। এবার তিনি পৌঁছেছেন কৃষ্ণনগরের পুলিশ সুপারের অফিসে। যদি কৃষ্ণনগরের পুলিশ কিছু একটা সুরাহা করে দিতে পারে, সেই আশায়। জানা গিয়েছে, নবদ্বীপে গোপালের শ্বশুরবাড়ি। স্ত্রীকে ফিরে পেতে সেখানেও গিয়েছিলেন তিনি। তবে ফিরতে হয়েছে হতাশ হয়ে। কেননা মেয়ে খুঁজে দেওয়ার বা মেয়ের সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে গোপালকে দ্বিতীয় বিয়ে করার উপদেশ দিয়েছেন তাঁর শ্বশুর, শাশুড়ি।

    গোপালের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে ডিসেম্বর মাসে নবদ্বীপের যুবতী নয়ন বিশ্বাসের সঙ্গে আলাপ হয় গোপালের। সেই আলাপ প্রেমে পরিণত হয়। দু’জনে বিয়েও করে ফেলেন। তাঁদের দুই সন্তান হয়। মেয়ের বয়স ১০ বছর। ছেলের বয়স আট বছর। তাঁদের দুই সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে আসেন নয়ন। সেখানে তাঁদের সন্তানকে পড়াতেন স্থানীয় গৃহশিক্ষক রাজীব বসু। এরইমধ্যে নয়নের সঙ্গে রাজীবের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে তৈরি হয়।

    গোপালের অভিযোগ, ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি তাঁর স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে ওই গৃহশিক্ষক অন্য রাজ্যে নিয়ে চলে যান। এদিকে গোপালও বাইরে কাজ করতেন। সেখান থেকে ফিরে এসে তিনি পুরো বিষয়টি জানতে পারেন। এরপরই স্ত্রী ও সন্তানদের খোঁজ শুরু করেন তিনি। যদিও কোনও খোঁজ তিনি পাননি। গতবছর সেপ্টেম্বরে নবদ্বীপ থানায় লিখিত অভিযোগেও দায়ের করেন। তবে কোনও সুরাহা হয়নি। যদিও এর মধ্যে দু’একবার স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা হয় গোপালের। যদিও তাঁরা কেথায় রয়েছেন সে বিষয়ে কিছু জানতে পারেননি গোপাল।
  • Link to this news (প্রতিদিন)