হাওড়া আদালতের নতুন সাততলা ভবন উদ্বোধন, মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির
প্রতিদিন | ২৬ জুলাই ২০২৫
অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: হাওড়া আদালতে নতুন সাততলা ভবনের উদ্বোধন হল। এখন থেকে সাততলা এই ভবনটিতেও আদালতের কাজকর্ম চলবে। আজ, শুক্রবার এই নতুন ভবনটির উদ্বোধন করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। উপস্থিত ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের অপর দুই বিচারপতি রবিকৃষ্ণ কাপুর, শম্পা দত্ত ও রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। অনুষ্ঠানে ছিলেন হাওড়ার জেলাশাসক পি দীপ প্রিয়া ও পুলিশ কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠিও।
এদিন প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের সাহায্যে এই ভবনটি তৈরি কর হল। খুব শীঘ্রই দ্বিতীয় পর্যায়ে এরকমই আরও একটি ভবন তৈরির কাজ শুরু হবে। এরপর দুটি ভবন একসঙ্গে জুড়ে সম্পূর্ণ বিচারালয় তৈরি হবে। বিচারক, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থী সকলেরই সুবিধা হবে।’’ নতুন ভবন তৈরির জন্য এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে ধন্যবাদ জানান প্রধান বিচারপতি। পাশাপাশি আদালত চত্বরকে পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন করে দখলদারি মুক্ত রাখার জন্য মুহুরি, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের কাছে আবেদনও জানান তিনি। রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, ‘‘তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় অনেক নতুন আদালত ভবন তৈরির পাশাপাশি পুরনো ভবনগুলোকে সারানো হয়েছে। উদ্দেশ্য, সাধারণ মানুষের যাতে আদালতে এসে বিচার পেতে সুবিধা হয়।’’ এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা জজ অভিজিৎ সোমও।
প্রসঙ্গত, এজলাসে জায়গার অভাব, ন্যূনতম বসার জায়গা না থাকা-সহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন জেরবার হাওড়া আদালতের বিচারক, আইনজীবী থেকে শুরু করে বিচারপ্রার্থীরা। স্থানাভাব ক্রমশই প্রকট হতে থাকে। ২০১১ সালে রাজ্য সরকার হাওড়া আদলত চত্বরের পাশেই ২২ কাঠা জমি দেয় নতুন ভবন তৈরির জন্য। ২০১৮ সালে ১২ কাঠা জমির উপর শুরু হয় হাওড়া আদালতের নিউ বিল্ডিংয়ের প্রথম পর্যায়ের ১০ তলা বিল্ডিং তৈরির কাজ। প্রায় ২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২১ সাল নাগাদ সেই কাজ শেষ করে পূর্ত দপ্তর। তারপর প্রায় ৪ বছর বাড়িটি পড়েছিল। এটি চালু করা যায়নি। অবশেষে রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপে শুক্রবার থেকে বাড়িটি চালু হল। তবে বাড়িটির এখনও তিনটি তলার কাজ বাকি রয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১০ কাঠা জমির উপর আরও একটি ১০ তলা বাড়ি তৈরি হবে। সেজন্য প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
এদিন প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘জেলা জজ ও বারের সহযোগিতায় লোক আদালতের মাধ্যমে বিবাদ মেটানো যেতে পারে। এ ব্যাপারে জেলা জজ ও অন্যান্য বিচারকরা মামলা হস্তান্তর করতে পারেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি কাউকে জোর করছি না। তবে এ ব্যাপারে কাজটা শুরু করা যেতে পারে।”