হুগলির আরামবাগের দৌলতপুরে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে দু’টি বিধানসভা এলাকার কর্মী সম্মেলন ছিল। তাতেই উপস্থিত ছিলেন ‘মহাগুরু’। ওই কর্মী সম্মেলনে আরও একবার মারের নিদান দিয়ে মিঠুন বলেন, “মার খেয়ে বাড়ি আসবেন না, মারলে মারুন।” কীভাবে দলীয় নেতা এমন উসকানিমূলক কথা বলতে পারেন, তা নিয়ে নানা মহলে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা। মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করে তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “প্ররোচনা দিচ্ছে। বিজেপি কর্মীরা এসব করতে গিয়ে গোলমালে জড়াবেন। ততক্ষণে দেখবেন ও কোনও নাচের অনুষ্ঠানে গিয়ে বসে আছেন। এসব বাজার গরম করা কথা।”
এছাড়া দলীয় কর্মীদের জোট বেঁধে কাঁধে কাঁধ দিয়ে লড়াইয়ের বার্তাও দেন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে এদিনও ঘরোয়া কোন্দল রুখতে আরও একবার উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারকা বিজেপি নেতা। তাঁর স্পষ্ট বার্তা কারও কোনও অভিযোগ থাকলে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে আলোচনা করতে হবে। দলীয় কোন্দল সামাল দিতে নিজের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরও দলীয় কর্মীদের দেন। দলের কোনও নেতা কিংবা বিধায়কদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে, তা সরাসরি তাঁকে জানানোর কথা বলেন মিঠুন।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকবারের নির্বাচনে বাংলায় দাঁত ফোটাতে পারেনি গেরুয়া শিবির। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, একে তো দক্ষ সংগঠকের অভাব। আবার তার উপর গোষ্ঠীকোন্দল। সবমিলিয়ে যেন জরাজীর্ণ দশা পদ্মশিবিরের। এই পরিস্থিতিতে আবার বাজতে চলেছে ভোটের দামামা। আগামী বছরই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। রাজনৈতিক মহলের মতে, বঙ্গ বিজেপির সংগঠনের তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য বদল হয়নি। বরং দলের অভ্যন্তরীণ ফাটল আরও চওড়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার মিঠুনের উপস্থিতিতে চেতলায় মণ্ডল কমিটির দু’পক্ষ হাতাহাতিতেও জড়ায়। এই আবহে বারবার গোষ্ঠীকোন্দল ভুলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজের বার্তা দিয়ে মিঠুন যেন প্রমাণ করছেন বঙ্গ বিজেপির গলায় কাঁটার মতো বিঁধছে ঘরোয়া দ্বন্দ্ব।