• ‘বাংলার শাড়ি’ শোরুমে ঠাঁই হয়নি জেলার তাঁতশিল্পীদের তৈরি শাড়ি
    বর্তমান | ২৬ জুলাই ২০২৫
  • সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: গঙ্গারামপুরের ঠেঙ্গাপাড়ায় ‘বাংলার শাড়ি’ শোরুমে  জায়গা হয়নি গঙ্গারামপুরের তাঁতিদের তৈরি করা শাড়ি। ২০২৪ সালে পুজোর মুখে প্রত্যেক জেলায় বাংলার শাড়ি নামে স্টল খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়। এক বছর পর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বাংলার শাড়ির স্টল খোলা হলেও জেলা হ্যান্ডলুম দপ্তরের তরফে কোনও প্রচার নেই বলে অভিযোগ। গঙ্গারামপুরের ঠেঙ্গাপাড়া হস্ততাঁত উন্নয়ন আধিকারিকের দপ্তরে তন্তুজ শোরুমে বাংলার শাড়ির স্টল খোলা হলেও তা বন্ধ হয়ে রয়েছে।  দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ধনিয়াখালি, ফুলিয়া, বিষ্ণুপুরের শিল্পীদের তৈরি শাড়ি এই শোরুমে বিক্রি হলেও গঙ্গারামপুরের তাঁতিদের শাড়ি জায়গা পায়নি। অথচ জেলার গঙ্গারামপুরের তাঁতিদের তৈরি শাড়ির সুনাম রয়েছে।ঠেঙ্গাপাড়ায় রাজ্য সরকার তাঁতিদের জন্য তাঁত ফেসিলিটি সেন্টার খুললেও সেখানে জেলার তাঁতিরা কোনওভাবেই উপকৃত হচ্ছেন না বলে অভিযোগ। দু’বছর আগেও তন্তুজের মাধ্যমে শাড়ির অর্ডার পেতেন গঙ্গারামপুরের তাঁতিরা। বর্তমানে জেলায় কাগজ-কলমে প্রায় ১৩ হাজার তাঁতি থাকলেও এই পেশা ছেড়ে অন্য কাজে ঝুঁকেছেন। ফলে জেলায় তাঁতের কাজ কার্যত বন্ধ। বাংলার শাড়ির শোরুমে জেলার তাঁত শিল্পীদের তৈরি শাড়ি না থাকায় হতাশ শিল্পীরা। ফোন না তোলায় হ্যান্ডলুম দপ্তরের আধিকারিক জয় রায়ের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মেসেজেরও উত্তর দেননি তিনি।ঠেঙ্গাপাড়া তন্তুজ শোরুমের ইনচার্জ বিদ্যুৎ সরকার বলেন, রাজ্য থেকে শোরুমে বাংলার বিশেষ জায়গার তাঁতের শাড়ি এসেছে। গঙ্গারামপুরের তাঁতিদের শাড়ি কেন নেওয়া হয়নি, জানি না। ডিজাস্টার শাড়ি গঙ্গারামপুরের তাঁতিদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে না। জেলার তাঁত শিল্পীদের কাজ সরকারি স্টলে স্থান না পাওয়ায় সরব হয়েছেন   বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী। বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী এই জেলা নিয়ে ভাবেন না। তাই এখানকার শিল্পীরা দিন দিন পিছিয়ে পড়ছেন। তৃণমূল  জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়ালের কথায়, বাংলার শাড়ির শোরুমে যাতে জেলার শিল্পীদের তৈরি শাড়িও রাখা হয়, সেবিষয়ে জেলাশাসককে জানিয়েছি।  গঙ্গারামপুরের ঠেঙ্গাপাড়াতে তন্তুজের শোরুম বন্ধ। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)