• হরিয়ানা থেকে ট্রেনে চাঁচলে ফিরলেন ৩০ জন শ্রমিক
    বর্তমান | ২৬ জুলাই ২০২৫
  • সংবাদদাতা, চাঁচল: ভিনরাজ্যে বাঙালি শ্রমিকদের হেনস্তা ও পুলিসি ধরপাকড়ের জেরে তাঁদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ভিনরাজ্য থেকে বহু শ্রমিক বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। ঘটনার জেরে চাঁচলের বিভিন্ন গ্রামে আতঙ্কে দিন কাটছে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের। আতঙ্ক নিয়ে শুক্রবার হরিয়ানা থেকে ট্রেনে করে চাঁচলে ফিরলেন ৩০ জন শ্রমিক। তাঁদের কথায়, ভিনরাজ্য এখন আর বাঙালিদের কাজ করার জন্য নিরাপদ নয়। গ্রামে ফিরে কীভাবে সংসার চলবে? 

    এদিন বাড়িতে ফেরা কৃষ্ণপুর গ্রামের রবিউল করিম বলেন, হরিয়ানায় সেলসম্যানের কাজ করে ভালোই উপার্জন হচ্ছিল। কিন্তু পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় বাড়ি ফিরতে বাধ্য হয়েছি। এখন গ্রামে কোনও কাজ নেই। সংসার চালাব কী করে! সন্ধোলপুরের সাহাবুদ্দিন বলেন, ওখানে সহকর্মীরা হেনস্তার শিকার হচ্ছিল। তাই ভয়ে বাড়ি ফিরে এলাম। কিন্তু আমাদের চাষের জমি নেই। এখন কীভাবে চলব, ভেবে পাচ্ছি না। চাঁচল মহকুমার শ্রমদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, চাঁচল মহকুমার ছ’টি ব্লকে কর্মসাথী প্রকল্পে ১ লক্ষ ৩৩ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক নথিভুক্ত রয়েছেন। এর মধ্যে ৫০ হাজারেরও বেশি শ্রমিক ভিনরাজ্যে থাকতে পারেন। চাঁচল মহকুমা শ্রমদপ্তরের সহকারী কমিশনার নৌশাদ আলি বলেন, আমরাও শুনেছি অনেকে ফিরে আসছেন। যাঁরা এখনও কর্মসাথী প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করেননি, তাঁরা আবেদন করতে পারেন। সরকারিভাবে তাঁদের সহায়তা করা হবে। 

    শ্রমিকদের এমন পরিস্থিতি নিয়ে  রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে। মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, ডবল ইঞ্জিন সরকারের রাজ্যগুলিতে পরিকল্পিতভাবে বাঙালিদের হেনস্তা করা হচ্ছে। যাঁরা ফিরে আসছেন তাঁদের জন্য রাজ্য সরকার বিশেষ ৫০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করেছে। শ্রমিকেরা চাইলে স্থানীয় পঞ্চায়েতে যোগাযোগ করতে পারেন। পাল্টা বিজেপির উত্তর মালদহের যুব মোর্চা সভাপতি অয়ন রায় বলেন, রাজ্য সরকার কর্মসংস্থান দিতে ব্যর্থ বলেই এত শ্রমিক বাইরে কাজ করতে যাচ্ছেন।  ভিনরাজ্য থেকে ছেলে বৌমার ফেরার আশায় দিন গুনছেন মুলাইবাড়ির বাসিন্দা গুলেনূর বেওয়া।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)