লাথি মেরে স্ত্রীর গর্ভের সন্তান নষ্টের অভিযোগ, স্বামী সহ ধৃত ৪
বর্তমান | ২৬ জুলাই ২০২৫
সংবাদদাতা, কান্দি: কান্দি থানার বাঘআছড়া গ্রামে স্ত্রীর পেটে লাথি মেরে গর্ভের সন্তান নষ্ট করার অভিযোগে শ্বশুরবাড়ির চারজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিস। শুক্রবার তাদের কান্দি মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক বধূর স্বামীর সাতদিনের পুলিস হেফাজত ও বাকিদের ১৪দিনের জেল হেফাজত মঞ্জুর করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় চারবছর আগে বাঘআছড়া গ্রামের যুবক খুশিরুদ্দিন শেখের সঙ্গে বিয়ে হয় মিনা খাতুনের। মিনার বাবার বাড়ি কান্দি থানার পুরন্দরপুর। খুশিরুদ্দিন কর্মসূত্রে সৌদিতে থাকতেন। তবে বছরখানেক আগে তিনি সেখান থেকে বাড়ি ফেরেন।
এদিকে বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন কারণে ওই দম্পতির মধ্যে ঝামেলা চলছিল। সম্প্রতি ওই বধূ গর্ভবতী হয়ে পড়েন। এরপর গত বুধবার ফের একবার ঝামেলার সময় বধূকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মারধর করে বলে অভিযোগ। স্বামী বধূর পেটে লাথি মারলে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন গর্ভবতী। এরপর তাঁকে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসকরা বধূর গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে জানান। এরপর বধূর পরিবারের পক্ষ থেকে কান্দি থানায় সন্তান নষ্টের অভিযোগ করা হয় শ্বশুরবাড়ির চারজনের নামে।
অভিযোগে প্রকাশ, বধূর গর্ভে সন্তান আসার পরেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন সন্তান নষ্ট করার দাবি করতেন। কিন্তু বধূ তা মানতে না চাওয়ায় তাঁর উপর অত্যাচার বাড়ে।
এদিকে বধূর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে কান্দি থানার পুলিস বধূর স্বামী খুশিরুদ্দিন শেখ সহ পরিবারের আহিনুর বিবি, নজরুল শেখ ও ওবাইদুল শেখকে গ্রেপ্তার করে। যদিও আদালতে যাওয়ার পথে খুশিরুদ্দিন জানায়, আমি একবছর হল বাড়ি এসেছি। কোনও ঝামেলা হয়নি। ওরাই সন্তান নষ্ট করে আমাদের উপর দোষ চাপাচ্ছে।