ভাঙা হাড় জুড়তে এবার থেকে প্লেট বসানোর ব্যবস্থা চালু কালনা হাসপাতালে
বর্তমান | ২৬ জুলাই ২০২৫
সংবাদদাতা, কালনা: কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মুকুটে নতুন পালক। এবার থেকে হাত-পা ভাঙা নিয়ে প্লেট বসাতে কলকাতা বা জেলা হাসপাতালে ছুটতে হবে না। কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেই বিনামূল্যে মিলছে চিকিৎসা। শুক্রবার কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে দুই রোগীর হাত ও কলার বোনে প্লেট বসালেন অর্থোপেডিক সার্জন আবদুল জব্বার সহ অন্যান্য চিকিৎসকরা। বিনামূল্যে এই পরিষেবা পেয়ে খুশি রোগী ও রোগীর পরিজনরা।
পাঁচতলা ঝা চকচকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মেলে উন্নত চিকিৎসা। সমস্ত পরিষেবা বিনামূল্যে পান রোগীরা। সম্প্রতি হাসপাতালের চক্ষু ও ইএনটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জটিল রোগের চিকিৎসায় বেশ সারা ফেলে দেন। এবার ভাঙা হাড় জুড়তে প্লেট বসানোর কাজও হবে এখানে। গত শনিবার পূর্বস্থলী থানার বিশ্বরম্ভা কুটিরপাড়ার বাসিন্দা গৃহবধূ সুজাতা মাহাতর বাম হাতের দুটি হাড় ভেঙে যায়। সুজাতাদেবীর পরিবারের লোকেরা বেসরকারি ভাবে চিকিৎসদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারেন হাড় জোড়া লাগাতে প্লেট বসাতে হবে। খরচ প্রায় ১৫-২০ হাজার টাকা। পেশায় খেতমজুর সুজাতাদেবীর স্বামী অভিজিৎ মাহাতর অত টাকা খরচের সামর্থ্য নেই। তিনি স্ত্রীকে কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। অর্থোপেডিক সার্জন আবদুল জব্বার ভাঙা হাড়ে প্লেট বসিয়ে অপারেশন করেন। এরজন্য রোগীর পরিবারকে একটি টাকাও খরচ করতে হয়নি। এছাড়াও এদিন আরও একজন রোগীর ভাঙা কলার বোনে প্লেট বসিয়ে সাফল্যের সঙ্গে অপারেশন সম্পুর্ণ হয়। চিকিৎসক আবদুল জব্বার বলেন, হাসপাতালে পরিকাঠমো রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্লেটের ব্যবস্থা করে দেওয়ায় আমি আমার কর্তব্য পালন করেছি।
হাসপাতালের সহকারি সুপার গৌতম বিশ্বাস বলেন, হাসপাতালে সমস্ত চিকিৎসা পরিষেবা বিনামূল্যে দেওয়া হয়। হাসপাতালে এতদিন হাত, পা বা শরীরের অন্যান্য ভাঙা অংশ চিকিৎসা হয়েছে। প্লেট বসিয়ে হাড় জোড়া লাগানো সচরাচর হতো না।
শুক্রবার এমন আরও দুই রোগীর ভাঙা হাত ও কলারবোনে প্লেট বসানো হয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে রোগীরা সম্পুর্ণ বিনামূল্যে এই পরিষেবা পান।
সুজাতাদেবীর স্বামী অভিজিৎ মাহাত বলেন, স্ত্রীর হাতের দু’টি হাড় খুব খারাপ ভাবে ভেঙে গিয়েছিল। বেসরকারি ভাবে করার সামর্থ্য ছিল না। কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে বিনামূল্যে ভাঙা হাতে প্লেট বসিয়ে পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। এরজন্য চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।-নিজস্ব চিত্র