নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া: পাইপ ফেটে যাওয়ায় শুক্রবার নির্জলা রইল বাঁকুড়া শহর। বাঁকুড়া শহরের সতীঘাট বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় জলের চাপে লোহার পাইপে ফাটল ধরে। তার ফলে এদিন সকাল থেকেই শহরে নলবাহিত পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ থাকে। জলের অভাবে বাসিন্দাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পাইপ মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে বলে পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। বাঁকুড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান হীরালাল চট্টরাজ বলেন, বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় পাইপ ফেটে গিয়ে বিপত্তি হয়। দ্রুততার সঙ্গে আমরা পাইপ সারাইয়ের ব্যবস্থা করি। মেরামতের পর এদিনই ট্রায়াল চলাকালীন অন্য একটি জায়গায় পাইপ ফেটে যায়। আজ, শনিবার তা মেরামত করা হবে। ফলে এদিনও পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়া মুশকিল রয়েছে।
পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, শহরে দৈনিক প্রায় দেড় কোটি লিটার জলের প্রয়োজন হয়। চাহিদা অনুযায়ী অবশ্য তা কিছুটা কমাবাড়া হয়ে থাকে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর আমাদের পরিস্রুত পানীয় জল দেয়। তা আমরা শহরে বাড়ি বাড়ি সরবরাহ করি। জলের চাপে পাইপের সংযোগস্থলে মাঝেমধ্যে ফাটল ধরে। পাইপ ফেটে গেলে শহরজুড়েই জল সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়। শহরের বাসিন্দা কল্পনা ঘোষ, সুভাষ মালাকার বলেন, পরিস্রুত পানীয় জল না পেয়ে এদিন নাকাল হতে হয়েছে। সরবরাহ দ্রুত স্বাভাবিক হলে ভালো হয়। উল্লেখ্য, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের বড়জোড়া প্রকল্প থেকে বাঁকুড়া শহর ও সংলগ্ন গ্রামীণ এলাকায় আর্সেনিকমুক্ত জল সরবরাহ করা হয়। আগে বাঁকুড়াবাসীকে ঘোলা ও আর্সেনিকযুক্ত জল পান করতে হতো। বছর দশেক আগে ওই জল প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। বর্তমানে গরমেও বাঁকুড়াবাসীকে জলের জন্য কষ্ট পেতে হয় না। তবে শহর থেকে প্রকল্প এলাকা অনেকটা দূরে। তার ফলে পাইপলাইনে সমস্যার কারণে মাঝেমধ্যেই শহরে জল সরবরাহ বন্ধ থাকে। বাঁকুড়া-দুর্গাপুর রাজ্য সড়কের পাশে মাটির নীচে পাইপ পাতা হয়েছে। যানবাহনের চাপ, অন্যান্য কারণে খনন কাজের ফলে মাঝেমধ্যেই পাইপ ফেটে যায়। তখন জল সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে। তার ফলে বাসিন্দাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।