• ফের বন্যার ভ্রুকুটি, ভাসতে পারে কেশপুর সহ ঘাটালের বহু গ্রাম
    বর্তমান | ২৬ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর: ফের লাগাতার বৃষ্টিতে বন্যার ভ্রুকুটি। ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনের তরফে ফের কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। প্রশাসনের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, এই বৃষ্টির আগেই বিভিন্ন ব্লকে ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রতিটি ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের স্পটে গিয়ে পরিদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জেলার আধিকারিকরাও একাধিক বৈঠক সেরেছেন। জেলার কন্ট্রোল রুমের নম্বর ৮৩৪৮৩৩৮৩৯৩, জেলা পুলিসের কন্ট্রোল রুমের নম্বর ৬২৯৬০৬০৬৯৯ ও স্বাস্থ্যদপ্তরের কন্ট্রোল রুমের নম্বর ৮৬৯৫৫০০৩৫০। ফের বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ায় নদীর জল বাড়তে পারে। এরফলে কেশপুর সহ ঘাটাল মহকুমার একাধিক গ্রাম ভেসে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    এদিন জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি বলেন, পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন ব্লকে পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী রয়েছে। একজন মানুষও যাতে সমস্যায় না পড়ে, সেদিকে নজর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টা কন্ট্রোল রুম চালু থাকবে। সমস্যার কথা জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যের তরফেও খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।

    জেলা পরিষদের সভাধিপতি প্রতিভা মাইতি বলেন, এবছর বৃষ্টির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। তাই আগে বহু এলাকা জলমগ্ন হয়ে গিয়েছিল। প্রশাসন সমস্ত পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮ জুন থেকেই লাগাতার বৃষ্টি শুরু হয়। এতেই সমস্যায় পড়েন গড়বেতা-১ ও গড়বেতা-২ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ। তবে সেই এলাকা থেকে জল তাড়াতাড়ি নেমে গেলেও ঘাটাল মহকুমার একাধিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে যায়। এরফলে

    সমস্যায় পড়েন একাধিক এলাকার মানুষ। কিন্তু জুন মাসের শেষের দিকে দিন কয়েক বৃষ্টি না হওয়ায় জল নামতে শুরু করেছিল ঠিকই। পরে ফের প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হয়। জানা গিয়েছে, ধাপে ধাপে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ছে। এর ফলে এনিয়ে তিনবার বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, জোর কদমে শুরু হয়েছে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ। ইতিমধ্যেই এনিয়ে একাধিক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও হয়েছে। রাজ্যের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা পরিদর্শনও করছেন। রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া বলেন, মুখ্যমন্ত্রী প্রচুর পরিমাণে ত্রাণ পাঠিয়েছেন। গোটা পরিস্থিতির উপর উনি নজর রাখছেন। নিজেও বহু এলাকা পরিদর্শন করেছি। এত বৃষ্টি কোনও বছর হয়নি। কিন্তু কেউ আতঙ্কিত হবেন না। পুলিস ও প্রশাসন সজাগ রয়েছে। কেশপুর এলাকার বাসিন্দা রূপক দে বলেন, টানা বৃষ্টি হচ্ছে। বেশি বৃষ্টি হলেই কেশপুর ব্লকের একাধিক গ্রাম জলমগ্ন হবে। তবে প্রশাসনের লোক বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে খোঁজ খবর রাখছেন।  বৃষ্টির জলে ডুবেছে মাঠ। চন্দ্রকোণায় তোলা নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)