• পচাগলা কঙ্কালসার দেহ উদ্ধার, পরিচয় জানতে ডিএনএ পরীক্ষা
    বর্তমান | ২৬ জুলাই ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বোলপুর: নানুর থানার পাপুরী গ্রামে একটি পচাগলা, কঙ্কালসার মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ওই মৃতদেহ কার তা কোনওভাবেই চিহ্নিত করতে পারছে না পুলিস ও স্থানীয়রা। মৃতদেহটি কোনও নাবালিকার বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিসের। বৃহস্পতিবার রাতে পাপুড়ি গ্রামের একটি মাঠ থেকে উদ্ধার করা হয় মৃতদেহটি। এরপর ওই মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বোলপুর মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে নানুর থানার খালা ও বেরু গ্রাম থেকে পরপর দু’দিন দুই নাবালিকা ছাত্রী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটে। সেই মৃতদেহ তাদের কারও কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। ইতিমধ্যেই ওই দুই নাবালিকার পরিবারকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে মৃতদেহ দেখানো হয়েছে বলে পুলিস জানিয়েছে। তাদের মধ্যে এক পরিবার নাবালিকার ওড়না চিহ্নিত করতে পারলেও সম্পূর্ণ নিশ্চিত হতে পারছেন না। তাই মৃতদেহের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে বলে পুলিস জানিয়েছে। এই ঘটনায় নাবালিকাদের দুই পরিবারসহ উদ্বেগে গোটা পাপুরী গ্রাম।

    পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পাপুরী গ্রামের নির্জন ফাঁকা মাঠে ওই মৃতদেহটি পড়েছিল। স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিস এসে মৃতদেহ বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। তবে এই মৃতদেহ উদ্ধারের সঙ্গে ওই দুই নাবালিকার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনার কোনও যোগ রয়েছে কি না, সেই নিয়ে বাড়ছে রহস্য। ‌পুলিস জানিয়েছে, গত ১৯ জুলাই প্রথম নিখোঁজ হয় নানুরের খালা গ্রামের এক নবম শ্রেণির ছাত্রী। তার বাবা রাইস মিলে কাজ করেন। ওইদিন সে চারকলগ্রামের শিক্ষকের বাড়িতে পড়তে গিয়েছিল। সেখান থেকে বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে যায় পাপুড়ি গ্রামে। বান্ধবীর দাবি অনুযায়ী, তাকে বাহিরী বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকেই সে নিখোঁজ। এর ঠিক পরদিন, ২০ জুলাই, নানুরের বেরুগ্রাম থেকে নিখোঁজ হয় আর এক নবম শ্রেণির ছাত্রী। সে মামার কাছে মানুষ। দু’জনেরই খোঁজ না মেলার ঘটনার মধ্যে এই অজ্ঞাত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে নানুরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, মাত্র দু’-তিন দিনে মৃতদেহ এরকমভাবে কঙ্কালসার অবস্থা হওয়া সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে, ওই মৃতদেহ শেয়ালে খাওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ পাপুরী গ্রামে শেয়ালের উপদ্রব রয়েছে। মৃতদেহ এতটাই ক্ষতবিক্ষত ও কঙ্কালসার যে, তা দেখে পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব নয়। তাই মৃতদেহের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে, নিখোঁজ কিশোরীদের পরিবারের সদস্যদের ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মেলানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর জন্য মৃতদেহটি রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)