ছাত্রীকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব! সমকামী অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে আরামবাগ থানায় অভিযোগ
প্রতিদিন | ২৬ জুলাই ২০২৫
সুমন করাতি, হুগলি: ছাত্রীকে প্রেম প্রস্তাব ও শারীরিক সম্পর্ক তৈরির চেষ্টার অভিযোগ উঠল সমকামী অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ওই ছাত্রীকে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করা হয় বলেই অভিযোগ। আরামবাগ নেতাজি মহাবিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে উঠল বিস্ফোরক অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে আরামবাগ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই গভর্নিং বডির বৈঠকও ডেকেছে।
অভিযুক্ত অধ্যাপিকার নাম তনয়া পাল চৌধুরী। আরামবাগের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বেনেপুকুর এলাকার বাসিন্দা ওই ছাত্রী। অধ্যাপিকা প্রথমে তাঁর সঙ্গে বন্ধুত্ব করেন। এবং পরে তাঁর বাড়ির দোতলায় একটি ঘর ভাড়া নেন। অভিযোগ, তারপর ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে চান তিনি। তবে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন ছাত্রী। অভিযোগ, অধ্যাপিকা ওই ছাত্রীকে ব্ল্যাকমেল করতে থাকেন। এমনকি আত্মহত্যার হুমকিও দেন। ছাত্রীর দিদি বলেন, “আমার বোন আরামবাগ নেতাজি মহাবিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের পড়ুয়া। ২০২১ সাল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত আমাদের বাড়িতে অধ্যাপিকা ভাড়া থাকতেন। ২০২১ সালে বোনকে প্রেমের প্রস্তাব দেন তিনি। বোন নাকচ করে দেয়। তারপরই আমার বোনকে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করেছে। বোনকে চড় মারা হয়েছিল। বাড়িতে আসতে দেওয়া হয়নি।” তিনি বলেন, “আমরা চাইছি অধ্যাপিকার মুখোশ খুলে যাক। পুলিশ হস্তক্ষেপ করুক। যাদের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেছে তারা যেন সামনে আসে। অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে মুখ খোলে।”
গত জুন মাসেই ওই ছাত্রী আরামবাগ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও পুলিশ প্রথমে তৎপর হয়নি বলেই অভিযোগ। সম্প্রতি ওই অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে আরেক ছাত্রী একই অভিযোগ করেন। তারপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। ওই ছাত্রী আইসি রাকেশ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করে গোটা বিষয়টি জানান। আরামবাগ থানার পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, “উনি আমাদের প্রাক্তন ছাত্র। ওঁর বাড়িতে কোনও অধ্যাপিকা ভাড়া থাকতেন কিনা, আমার জানা নেই। কেউ কোনও অভিযোগে থানায় যেতেই পারেন। যেহেতু উনি আমাদের বর্তমান ছাত্রী নন, তাই আমি কিছু বলতে পারব না।” অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কলেজ কর্তৃপক্ষও নড়েচড়ে বসেছে। ইতিমধ্যে গভর্নিং বডি বৈঠকও করেছে।